Saturday, February 2, 2019

মশার কয়েলের ব্যবহার কমান!


মশার কয়েলের ব্যবহারে সতর্ক হোন!
মশার কয়েলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় আবিষ্কৃত হয় যে, একটি শক্তিশালী মশার কয়েলে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে তা ১০০টি উচ্চ মাত্রার নিকোটিনের সিগারেটের সমান; এবং সম্প্রতি বাংলাদেশেই শক্তিশালী মশার কয়েল ব্যবহারের ফলে একটি বংশানুগতিক শ্বাসকষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত পরিবারে মশার কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে পিতা ও শিশুপুত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে, এই লেখার উদ্দেশ্য এই পরামর্শ দেওয়া নয় যে মশার কয়েল ব্যবহার করা ছেড়ে দিন। এর অর্থ হলো মশার কয়েলের ব্যবহার কমান। একান্ত ব্যবহার না করলেই নয় সেসব ক্ষেত্রে মশার কয়েল ব্যবহার করুন। মশা প্রতিরোধের বিকল্প পথ খুঁজুন/ বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করুন। মশারী ব্যবহার করুন। যেখানে মশারী বা অন্যান্য পদ্ধতি একেবারেই সম্ভব নয় শুধু সেখানেই মশার কয়েল ব্যবহার করুন।

কিছু বিকল্প পদ্ধতি এরূপ হতে পারে-
১. দিনের যে সময়টাতে রুমে মশা কম থাকে সেই সময়ে মশা তাড়িয়ে দিয়ে রুম মশামুক্ত করুন এবং মশা ঢোকার পথ রুদ্ধ করে দিন। শীতকালে এ কাজটা বেশ সহজ। গরমকালে দরজা ও জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট ব্যাবহার করতে পারেন; সুবিধার জন্য নেট ফ্রেমে বসাতে পারেন তাহলে ঘরের মাঝে সুন্দরভাবে পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করতে পারবেন আর ঘুমানোর সময় তো মশারি থাকছেই।
২. রুমকে মশামুক্ত করার জন্য কাজ করার পরও যদি দু একটা মশা থেকে যায় সেগুলোকে শায়েস্তা করতে মশা মারার ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৩. মশা তাড়ানোর তরঙ্গ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
৪. এর আগে আমাদের "টুকিটাকি" বিভাগে সুলভে মশা প্রতিরোধের একটি পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে, সেটা প্রয়োগ করতে পারেন। কমেন্টে সেই লেখার লিংক দেওয়া আছে।
আরো কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি বাজারে পেলে তাও প্রয়োগ করুন। তবে, এ্যারোসল ব্যবহার করবেন না; অন্য কোনো সময়ে এ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক ও তার বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
(সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment