Wednesday, February 13, 2019

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ!


জেনে নিন, মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ সম্পর্কে এবং এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত শব্দগুলোর অর্থ→

(সংগৃহীত)

জেনে নিন প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত টার্মগুলোর অর্থ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীরা যেসব কাজ করবেন না!


প্রতিটি নারীর জন্য পিরিয়ড বা মাসিক খুবই সাধারণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়। এই মাসিকের সময় নারীদের কিছু কাজ করা থেকে, কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্যে।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিম্নের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন:

১. পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
২. এসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া
আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
৩. এসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকা রস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু
প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুতে ঘাঁ কিংবা বন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। দয়া করে এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিন।

আপনার শেয়ার করার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া। জরায়ু ক্যান্সার ও বন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা বোনেরা।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

সন্তান নেওয়ার পূর্বে নিজেদের থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করে নিন।

প্রজন্ম

বিয়ে করেছেন মনের মানুষটিকেই। সুখের সংসার। সন্তান নেয়ার কথাও চিন্তা করছেন। কিন্তু হয়তো জানেনই না যে কেউ একজন কিংবা দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার কিনা।
আপনাদের অজ্ঞতার কারণেই আপনাদের অনাগত সন্তানের জীবন থ্যালাসেমিয়া নামক এক জীবনঘাতী রোগের কারণে হয়ে যেতে পারে অভিশপ্ত।
হ্যা আপনারাই এতে দায়ী। তাই আর দেরী না করে যারা বিয়ে করে সন্তান নেবার কথা ভাবছেন এমনকি অনেকে হয়তো প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আছেন তারা নিজেদের সাথে সাথে আপনাদের অনাগত শিশুর থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করিয়ে নিন।
আপনাদের আজকের সঠিক পদক্ষেপেই আগামী দিনে জন্ম নেবে এক সুস্থ শিশু আর আমরা পাবো একটি থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ।
জেনে রাখুন যে, বাংলাদেশী জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৪.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বাংলাদেশে প্রায় ২লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হবে ৫০,০০০ প্রতি বছর।
একটু সচেতনতা আর একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ বাঁচাতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
তাই দেরি নয়। প্রতিরোধ এখনি!
থ্যালাসেমিয়ার টেস্ট সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য কল করুন:
DNA Solutions Ltd. ০১৯৭১৫৯৪২০৫ এই নাম্বারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনে নিন, কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে!


প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক; দেখুন, কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হয় আর কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হয় না।

যে সকল প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে- ১. কুকুর, ২. বিড়াল, ৩. শিয়াল, বেঁজি, ৫. বানর, ৬. বাদুর।

যে সকল প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন নাই- ১. ইঁদুর, ২. খরগোস, ৩. কাঠবিড়ালী, ৪. গুঁইসাপ, ৫. মানুষ।

যে সকল অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা নাই- ১. গর্ভাবস্থায়, ২. মায়ের দুগ্ধদানকালে, ৩. অন্য যেকোনো অসুস্থতায়, ৪. ছোট বাচ্চা, ৫. বৃদ্ধ।

নোট: ক্ষতস্থানে কমপক্ষে ১০-২০ মিনিট ধরে প্রচুর পরিমাণে কাপড় কাচার সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 8, 2019

বয়সের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা!


বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধতে শুরু করে। আর রোগ-ব্যাধি সব সময় বলে-কয়ে আসে না। তাই বেশির ভাগ সময় রোগের জটিল পর্যায়ে মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক রোগ শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা নিলে মারাত্মক সব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করতে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাকে স্ক্রিনিং টেস্ট বলে। আসুন জেনে নিই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী কী স্ক্রিনিং টেস্ট করা জরুরি।

রক্তের শর্করা
রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়লে ডায়াবেটিস হয়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, অন্ধত্বসহ নানা ধরনের জটিলতার জন্য দায়ী। প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস শনাক্ত ও জটিলতা এড়াতে চল্লিশের পর সবার উচিত রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা।

লিপিড প্রোফাইল
উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ধমনির গায়ে জমে হৃদ্‌রোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বয়স ৩৫-এর বেশি হলে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল করতে হবে। হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে বা এগুলোর পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তা আরও নিয়মিত করতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে যেকোনো বয়সেই। তবে চল্লিশের পর আশঙ্কা বেশি। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে।

চক্ষু পরীক্ষা
চল্লিশের পর সাধারণত দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। পড়তে শুরু করে চোখের ছানি। গ্লুকোমা হলে চোখের অপটিক নার্ভ ধীর ধীরে নষ্ট হয়ে দৃষ্টিহীনতা দেখা দেয়। তাই চল্লিশের পর অবশ্যই বছরে একবার চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি।

ক্যানসার স্ক্রিনিং
ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ কোলোরেক্টাল ক্যানসার। উপসর্গবিহীন এই রোগ একবারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে এ বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

তাছাড়া চল্লিশের পর প্রত্যেক পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসার এবং নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসারের পরীক্ষা করাতে হবে।

হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা
হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে অস্টিওপোরেসিস হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। বয়স চল্লিশ পার হলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করাতে হবে।

- ডা. এ হাসনাত শাহীন,
ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল।

উৎস: দৈনিক 'প্রথম আলো'য় ডা. এ হাসনাত শাহীন এর লেখা থেকে সংগৃহীত।

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনে নিন, পিতামাতার রক্তের গ্রুপ সন্তানের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলে?

এই বর্ণনা থেকে সহজভাবে জেনে নিতে পারেন পিতামাতার রক্তের গ্রুপ সন্তানের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলে থাকে।

(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়!


ফ্রিজে আলু, টমেটো ও আপেলের মতো খাবারগুলো রাখা ঠিক নয়।

এখনকার দিনে বাড়িতে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর অনেকে জরুরি বলে মনে করেন। এতে অনেক খাবার সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু রেফ্রিজারেটরে সব খাবার রাখা যায় না। পরিচিত খাবারের মধ্যে কিছু খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে তার স্বাদ ও গন্ধ বদলে যায়। কমে যায় পুষ্টিমান। কয়েকটি পরিচিত খাবার আছে, যা ফ্রিজে না রাখাই ভালো:

টমেটো: অনেকে টমেটো কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। এতে টমেটো নিস্তেজ ও ময়দার তালের মতো তুলতুলে হয়ে যায়। একটা খোলা কনটেইনারে টমেটো ভরে জানালার পাশে রাখতে পারেন। এতে টমেটো সতেজ ও টুসটুসে থাকবে।

আলু: আলু যে ফ্রিজে রাখতে নেই—এ কথা অনেকেরই জানা। ফ্রিজে রাখলে আলুর শর্করার গুণাগুণ নষ্ট হয়। আলুতে যে মিষ্টি ভাব থাকে, ফ্রিজের হিমাগার তা শুষে নেয়। এতে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখার চেয়ে খোলা ঝুড়িতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো থাকে আলু।

পেঁয়াজ: ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে নরম হয়ে নষ্ট হতে পারে। যদি রাখতেই হয়, ব্যাগে ভরে সবজির ড্রয়ারে রাখতে পারেন। তা না হলে ফ্রিজের আর্দ্রতায় পেঁয়াজ ভালো থাকবে না।

মধু: মধুর মধ্যে থাকা সুগার ঠান্ডা হাওয়ায় কেলাসিত হয়ে যায়, যা মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ একদম কমিয়ে দেয়। তাই মধু ফ্রিজের বাইরে রাখাই উচিত। 

রসুন: ফ্রিজে রাখলে রসুন খুব তাড়াতাড়ি অঙ্কুরিত হয়ে যায়। এমনকি রসুন অপেক্ষাকৃত নরম হয়ে যায়। তবে রসুন বেটে বা ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন।

পাউরুটি: পাউরুটির নিজস্ব আর্দ্রতা রয়েছে। ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। শক্ত হয়ে যায়।

কফি: বায়ু চলাচল করতে পারে না—এমন কনটেইনারে কফি রাখা উচিত। ফ্রিজে রাখলে কফি বিন বা পাউডারের আর্দ্রতায় নষ্ট হয়ে যায়। এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কফির গন্ধ চলে যায়। এর বদলে একধরনের দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

আপেল: স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আপেল মিষ্টি আর রসাল থাকে। ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এ ছাড়া বাইরের আবরণ শুষ্ক হয়ে যায়। আপেলের রসাল ভাব থাকে না।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, February 7, 2019

এক রাত ভালো ঘুম না হলে যে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন আপনি, জানুন কেনো?


শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা।

বয়স অনুযায়ী ঘুমের হিসাব
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারো কারো নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুমালেও চলতে পারে। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেরই প্রায় ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

মার্কিন গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটির লিডিয়া ডনকারলোস বলেছেন, সারকাডিয়ান ক্লক বা দেহঘড়ির প্রভাবে টিনেজারদের সাধারণত রাতে একটু দেরিতে ঘুম পায় এবং ওরা দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চায়। কিন্তু যখনই ঘুমাক আর যখনই উঠুক, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোটা খুবই জরুরি। তিনি আরও বলেন, ছুটির দিনে ঘুম পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা অনেকেই করে বটে কিন্তু আসলে ‘বকেয়া ঘুম কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যায় না’।

১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে কারও কারও নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু অনেকেই দিনের বেলায় ভাতঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত ৫ ঘণ্টাতেও দিব্যি ভালো থাকতে পারেন।

শতকরা ৪০ ভাগ লোক এর চেয়ে কম ঘুমায় । মাত্র এক রাত ঘুম কম হলেই আপনার শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে। যথেষ্ট ঘুম না হলে চোখ লাল হয়, গায়ের চামড়ার রঙ নষ্ট হয়। অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যথেষ্ট ঘুম না ঘুমালে কী কী ক্ষতি হয়—
ঘুম কম হওয়া বা কিছু সময় ধরে ঘুম কম হওয়ার সমস্যাটি শুরুতে অল্প থাকলেও পরে তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ঘুম না হওয়ার পিছনে অনেক কারণের একটি হচ্ছে খাবার-দাবার। অতিরিক্ত ক্যালরি আছে এমন খাবার বা অতিরিক্ত শর্করার খাবার খেলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

জেনে নিন ঘুম না এলে কি করবেন?
১৫ জন লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে মাত্র এক রাত ঘুম না হলেই মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় শুরু হয়। ১৭৪১ জন নারী এবং পুরুষের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যারা ১০ থেকে ১৪ বছর ধরে ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমান তাদের মধ্যে মারাত্মক ধরনের মৃত্যুহার বেশি থাকে। তাছাড়া তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো অনেক রোগের হার বেশি।

এক রাত কম ঘুমালে যে সমস্যা হয়—
১) ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং আপনি বেশি খেতে শুরু করেন।
২) যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকির মধ্যে থাকেন আপনি।
৩) আপনি দেখতে যেমন আপনাকে তার চেয়ে খারাপ দেখায়।
৪) ঠাণ্ডা-সর্দি লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫) আপনার মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হওয়া শুরু হয়।
৬) আপনি সামান্য কারণে ইমোশোনাল হয়ে যান।
৭) আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে।

একরাত ঘুম কম হওয়া বা অল্প সময়কাল ধরে ঘুম কম হওয়ার সমস্যাটি পরে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এটি রূপ নিতে পারে নিয়মিত ঘুম কম হওয়া বা ঘুম না হওয়ার সমস্যায়।

প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ঘুম না হওয়ার কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর নিয়মিত ঘুম কম হলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে থাকে।

নিয়মিত কম ঘুমালে যে সমস্যাগুলি হয়—
১) স্ট্রোক করার ঝুঁকি চারগুণ বেড়ে যায়
২) অবেসিটি রিস্ক বেড়ে যায়। ফলে তাড়াতাড়ি আপনি মোটা হতে থাকেন।
৩) কোনো ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫) হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬) আপনার শরীরে শুক্রাণু কম উৎপন্ন হতে থাকে।
৭) মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

এই দশটি খাবার ফ্রিজে রাখতে নেই!

খাদ্য

আমাদের মাঝে প্রচলিত একটি সাধারণ বিশ্বাস হলো ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমাদের খাদ্য উপাদানগুলোর জন্য নিরাপদ এবং আরো বেশি স্বাস্থ্যকর। কেননা নিচু তাপমাত্রা আমাদের খাদ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে এমন সব অণুজীব এবং ব্যাকটেরিয়াকে দমণ করে। আর এই বিশ্বাসের কারণেই আমরা কাঁচা মাংসের মতো খাবার ফ্রিজে রাখি। কিন্তু একই নিয়ম অন্য সব খাবারের বেলায়ও প্রয়োগ করতে গিয়েই আমরা বিপত্তিটা বাঁধাই। বাস্তবে সব খাবারের বেলায়ই এই নিয়মটা প্রযোজ্য নয়। বেশ কিছু খাদ্য বা সবজি আছে যেগুলো ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রাখলেই ভালো থাকে, আবার এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এমন দশটি খাদ্য রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে না রেখে বরং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই বেশি ভালো থাকবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী—

১. টমেটো
কাঁচা টমেটো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। যাতে সেগুলো আরো সুস্বাদু এবং রসালো হয়। চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রায় টমেটোর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পুরোপুরি পেকে গেলে এরপর আপনি টমেটো প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজ রাখতে পারবেন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করার পর আধা ঘন্টা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তারপর রান্না করুন।

২. পেঁয়াজ
খোসাযুক্ত পেঁয়াজের বেঁচে থাকার জন্য দরকার হয় আলো-বাতাসের। আপনি যদি ফ্রিজে খোসাসহ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন তাহলে সেগুলো অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে পঁচে যেতে পারে। ফলে ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে গেলে তা সবসময়ই খোসা ছাড়িয়েই রাখবেন। পেঁয়াজ আপনি খোলা জায়গাও রাখতে পারেন কিন্তু তা যেন অবশ্যই সূর্যের আলো থেকে দূরে হয়। এছাড়া ছিদ্রযুক্ত কাগজের ব্যাগেও আপনি পেঁয়াজ রাখতে পারেন।

৩. বাদাম এবং শুকনো ফল
আমাদের অনেকেই বাদাম এবং শুকনো ফল ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন এই আশায় যে এতে সেগুলোর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হবে না বা পঁচে যাবে না। কিন্তু এতে বরং হিতে বিপরীত হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বরং তাদের স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্রিজে থাকা অন্যান্য গন্ধও তাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এরচেয়ে বরং তাদেরকে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে খোলা জায়গায় রাখুন।

৪. রসুন
আপনি যদি ফ্রিজে রসুন সংরক্ষণ করেন তাহলে তা থেকে গেঁজ বের হতে শুরু করবে এবং তা রাবারের মতো হয়ে যেতে থাকবে। সুতরাং শুকনো এবং শীতল স্থানে রসুন সংরক্ষণ করুন।

৫. পুদিনা পাতা
আপনি যদি পুদিনা পাতা ফ্রিজে রাখেন তাহলে সেগুলোর স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা তাপমাত্রা তাদের সতেজভাব দ্রুত নষ্ট করে এবং শুষ্ক করে তোলে। পুদিনা পাতা সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো সেগুলোকে পানিভর্তি জারে রাখা এবং সেই জারের মুখ খুলে রাখা।

৬. আলু
আলু কখনো ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। শুধু ছিদ্রযুক্ত রেখে সংরক্ষণ করুন। ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখলে আলুতে থাকা শ্বেতসার সব সুগারে রুপান্তরিত হয়। ফলে রান্নার সময় আলুর রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আলো থেকে দূরে এবং না ধুয়েই আলু সংরক্ষণ করুন। আর্দ্রতা আলুকে দ্রুত নষ্ট করে।

৭. মধু
মধু কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করার দরকার নেই। ফ্রিজের বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও মধু খুবই মসৃণ এবং তাজা থাকবে। তবে মধু যে পাত্রে রাখবেন তার মুখটি ভালো ভাবে আটকে রাখুন। প্রকৃতপক্ষে, মধু ফ্রিজে রাখলে তা জমে যেতে পারে।

৮. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল বা যে কোনো ধরনের রান্নার তেল ফ্রিজে রাখবেন না। এতে সেগুলো জমে যেতে পারে এবং মাখনের মতো শক্ত রুপ ধারন করতে পারে। নারকেল তেলের বেলায়ও একথা সত্য। আপনার কিচেন ক্যাবিনেটের কোনো শীতল জায়গায় এগুলো সংরক্ষণ করুন কিন্তু তাপ থেকে অবশ্যই দূরে রাখবেন।

৯. তরমুজ
জার্নাল অফ অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজ বা খরমুজ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখলে এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় তরমুজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খোলা জায়গায় ফলের যারকে সংরক্ষণ করলেই বেশি ভালো থাকবে।

১০. রুটি
আপনি হয়তো এতদিন ফ্রিজেই সংরক্ষণ করে আসছিলেন রুটি। কিন্তু সময় এসেছে পরিবর্তনের। ফ্রিজে রুটি রাখলে তা শক্ত এবং রাবারের মতো হয়ে যেতে পারে। আর তাছাড়া ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র তাপমাত্রা রুটি আরো দ্রুত বাসি হয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

ভালো থাকুন | School of Awareness

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারে সতর্কতামূলক তথ্যাদি, এখনই জেনে নিন!


বোতলের তলায় ত্রিকোণ চিহ্নটা কখনও খেয়াল করেছেন, জানেন কি এর অর্থ?
ঘরে বাইরে এখন প্লাস্টিকের প্লেট, বোতলের ছড়াছড়ি। খাবার রাখা থেকে পানি রাখা— সবকিছুতেই এই প্লাস্টিক বোতল। কিন্তু, কখনও আমরা কেউ খেয়াল করি না প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে থাকা চিহ্নগুলিকে।
পড়ে গেলে চট করে ফেটে যায় না। বোতল পরিষ্কার করাও সোজা। ব্যবহারের এমন সোজা-সাপটা সুবিধায় প্লাস্টিকের বোতলের চল বাড়তে বাড়তে এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, আমরা না বুঝেই দিনের পর দিন এই সব প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকি। অনেকে তো বাচ্চার দুধ ভর্তি প্লাস্টিকের ফিডিং বোতলটাই গরম করে বসেন। প্লাস্টিক বোতলের এমন যথেচ্ছা ব্যবহার আসলেও কি স্বাস্থ্যকর? এ বিষয়ে বাছ-বিচার করি না আমরা। তাই প্লাস্টিক বোতলের তলায় থাকা ত্রিকোণ চিহ্নের মানেটা বুঝে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে নিমেষে।

Plastic Bottle Symbols:-
১. ত্রিকোণ চিহ্ন— এটা আসলে প্লাস্টিক বোতলের চারিত্রিক ইনডেক্স। এই চিহ্নটা থাকলে বোঝা যায় বোতলটি বিধিসম্মতভাবে তৈরি। কিন্তু, বোতলটা ব্যবহারের কতটা নির্ভরযোগ্য বা কী ধরনের জিনিস তাতে রাখা যাবে, তা ত্রিকোণ চিহ্নের মধ্যে থাকা সংখ্যা দ্বারা বোঝা যায়।
২. ত্রিকোণের মাঝে ১ সংখ্যা থাকলে— এর মানে বোতলটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে এবং বোতলটিতে পলিথিলিন টেরেপথ্যালেট প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের বোতল বহুব্যবহারে স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
৩. ত্রিকোণের মধ্যে ২ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বোতলে ঘন পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের বোতল ব্যবহার হয়।
৪. ত্রিকোণের মধ্যে ৩ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের বোতল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এই বোতল তৈরি হয় ‘পোলিভিনিল ক্লোরাইড’ বা ‘পিভিসি’ থেকে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘পিনাট বাটার’ রাখতে এই বোতল ব্যবহার করা হয়।
৫. ত্রিকোণের মধ্যে ৪ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বহু ব্যবহারের উপযোগী। বিশেষ করে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে এই চিহ্ন প্রচুর দেখা যায়। খুব দামি বোতলে এই চিহ্ন থাকে।
৬. ত্রিকোণের মধ্যে ৫ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক একদম নিরাপদ এবং ব্যবহারেরযোগ্য। আইক্রিম কাপ বা সিরাপের বোতল অথবা খাবারের কন্টেনারে এই ধরনের চিহ্ন দেখা যায়।
৭. ত্রিকোণের মধ্যে ৬ অথবা ৭ সংখ্যা থাকলে— প্লাস্টিকের রেড কার্ড বলা হয় একে। এই ধরনের প্লাস্টিক মারাত্মক রকমের ক্ষতিকারক। কারণ এই ধরনের প্লাস্টিক তৈরি হয় পলিস্টিরিন এবং পলিকার্বনেট বিসপেনল-এ। এটা মানুষের মধ্যে হরমোন সমস্যা তৈরি করে। ক্রমাগত এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 6, 2019

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের উপর প্রজন্মের যা কিছু নির্ভর করে।

প্রজন্ম

জানেন কি স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি হয়? এবং ভিন্ন হলে কী হয়? জেনে নিন এখনই-

আমরা বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি, কিন্তু ভুলে যাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপারটি, আসুন জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্য-

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত রক্তের গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হল: A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.

জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেয়া হয় তাহলে কী হবে?

যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারণে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?

স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাডগ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?

রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সেক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুণ) তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে।

মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরি করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরি হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সঙ্গে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

যে ভুলগুলো আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে!


আমাদের রূপচর্চা আর দৈনন্দিন অনেক কাজেই সামান্য ভুলের কারণে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। একটু সাবধান হলেই এসব সমস্যা দূর করা যায়। চলুন একটু জেনে নিই, যেসব ছোট ছোট ভুলের কারণে ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে—

১. মেকাপের যেসব ভুলে অসুস্থ হচ্ছেন আপনি-

আইলাইনার চোখের ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করা:
অনেকেই চোখ সুন্দর করে আইলাইনার দিয়ে এঁকে থাকেন। এবং বেশীর ভাগ সময়েই কাজল বা লাইনার চোখের ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করেন। এতে লাইনারে ব্যবহৃত কেমিক্যাল চোখের সংস্পর্শে চলে আসে তা তাৎক্ষণিকভাবে শুধুমাত্র চোখ জ্বালাপোড়া করলেও নিয়মিত ব্যবহারে চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চোখে ফলস আইল্যাশ ব্যবহার:
চোখের পাতা বড় দেখানোর জন্য চোখে আইল্যাশ ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এই ফলস আইল্যাশ লাগানো হয় গ্লু দিয়ে যা চোখের জন্য এবং ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। গ্লুতে থাকা ফরমালডিহাইড চোখের সংস্পর্শে এলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং সাবধান।

নোংরা মেকাপ ব্রাশ ব্যবহার:
সপ্তাহে অন্তত ১ দিন মেকাপ ব্রাশগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত যা অনেকেই করেন না।আর একারণেই নোংরা মেকাপ ব্রাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বকের ইনফেকশন, ব্রণের উপদ্রব হওয়ার মূল কারণ নোংরা মেকাপ ব্রাশ ব্যবহার করা।

মেয়াদ উত্তীর্ণের পরও মেকাপ ব্যবহার:
নারীরা একবার মেকাপের জিনিসপত্র কিনলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহারই করতে থাকেন।অনেক কম নারীই রয়েছেন যারা এক্সপায়ার ডেটের খবর রাখেন। কিন্তু এই কাজটিও বেশ ক্ষতিকর। মেয়াদ শেষ হওয়া মেকাপ ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ত্বকের নানা সমস্যা এমনকি ত্বকের ক্যান্সারের জন্যও দায়ী মেয়াদউত্তীর্ণ মেকাপ ব্যবহার।

ঘন ঘন নেইলপলিশ ব্যবহার:
সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার করলে নখ পাতলা হয়ে যায়। আর নখের উজ্জ্বলতা কমে যায়। তাই নেইলপলিশ কম ব্যবহার করা উচিত।

২. দৈনিক রূপচর্চায় যে সব ভুলে অসুস্থ হতে পারেন-

মুখ ধোয়ার জন্য কেউই হাত পরিষ্কার করে নেন না। অনেকেই ভাবেন মুখ ধোয়ার সাথে হাতও পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু আপনার হাতে যে জীবাণু রয়েছে তা প্রথমেই ত্বকে চলে যায় এবং সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আগে হাত ধুয়ে নিন।

অনেকেই শুকনো ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক ধুয়ে থাকেন এতে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। প্রথমে ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
অনেক সময় নানা ফেসমাস্ক বা উপটান ব্যবহারের পর তা ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া থাকে। তখন আমরা সঠিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে অনেক বড় ভুল করে থাকি। খুব ঠাণ্ডা বা বেশ গরম পানি দিয়ে ত্বক ধোয়া উচিত নয়।

স্ক্রাবিং ত্বকের জন্য অনেক বেশি জরুরি। এতে করে ত্বকের মরা চামড়া দূর হয় এবং গভীরে জমে থাকা ময়লা দূর হয়। অনেকে বেশি সময় ধরে ত্বক স্ক্রাব করেন যা অনেক ক্ষতিকর। স্ক্রাবার দিয়ে মুখের ত্বক ১/২ মিনিটের বেশি স্ক্রাব করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ এর বেশি সময় ধরে স্ক্রাব করলে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয়।

যেকোনো একটি তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা মোটেও ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ মোছার তোয়ালে অবশ্যই আলাদা করে রাখবেন। তা না হলে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
ত্বক কখনোই তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছবেন না। এতে ত্বকের টিস্যুর মারাত্মক ক্ষতি হয়। তোয়ালে বা কাপড় চেপে ধরে শুধুমাত্র ত্বক থেকে পানি শুষে নিন।

৩. দৈনন্দিন যেসব ভুল কাজে আপনি অসুস্থ হতে পারেন-

সটান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা:
অনেকেই দাঁড়ানোর সময় হাঁটু একেবারে সোজা করে দাঁড়ান। কিন্তু এই কাজের কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে আপনার হাঁটুর জয়েন্টে, যার কারণে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে পারে আপনার হাঁটুর জয়েন্ট। তাই দাঁড়ানোর সময় হাঁটু সামান্য বাঁকা করে দাঁড়ান, সব সময় সোজা হয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।

পেটের উপর চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে ঘুমানো:
অনেকেই চিৎ হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমান না। আরমের জন্য উপুড় হয়ে পেটে ভর দিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন এতে আপনার পরিপাকতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও যখন আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তখন মাথা কাত করে রাখতে হয় যার কারণে আপনার মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ছে এবং ক্ষতি হচ্ছে সেখানেই। সুতরাং এই ব্যাপারে সর্তক হোন।

সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোনো:
অনেকেই সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোতে থাকেন। সারাক্ষণ না হলেও দীর্ঘসময় এই কাজটি করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এই কাজটির কারণে ক্ষতি হচ্ছে আপনার চোয়ালের মাংসপেশি। সুতরাং অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।

টাইট জামা-কাপড় পরা:
অনেকে বেশি টাইট করে জামা কাপড় পরেন। নিজেকে একটু স্লিম দেখাবার জন্য অনেক টাইট করে জামা কাপড় বা বেল্ট পড়েন। কিন্তু অনেকটা সময় ধরে টাইট করে জামাকাপড় পড়ার কারণে আপনার শরীরের পেশীগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যার কারণে শরীর ব্যথা হতে পারে, পেটে চাপ পড়লে খাবার সঠিকভাবে হজম হতে পারে না এবং অ্যাসিডিটির সৃষ্টি করে।

একটানা বসে থাকা:
কাজ করার জন্য অনেকেই একটানা বসে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি নানা শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী। প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর উঠে হেঁটে আসা উচিত।

লিখেছেন- সোহানা মোরশেদ
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 5, 2019

বর্তমান সময়ের জন্য কিছু অতিপ্রয়োজনীয় পরামর্শ, জানুন ও মেনে চলুন→


১. আপনি যখন মোবাইলে কোনো নাম্বারে ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে, এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয় যা মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে দূরে ধরুন।

২. মোবাইলের চার্জের বাতি যখন শেষ দাগে তখন কোনো কল ধরবেন না কারন এই সময় রেডিয়েশন অন্যান্য সময়ের চেয়ে ১০০০ গুন বেশি থাকে। তাই পুনরায় চার্জ দিয়ে ফোন করুন।

৩. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেন না। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

৪. প্লাস্টিকের পাত্রে গরম খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

৫. ঠান্ডা পানি দিয়ে ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।

এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন। নিজে সুস্থ থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 4, 2019

খাবার স্যালাইন খাওয়াতে সতর্ক হোন, জেনে নিন সঠিক নিয়ম!


কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে-
প্রচণ্ড গরম পরেছে, পাশের সারির সিটে বসেছিল দুইজন ছেলে, দুজনই ছাত্র;
হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল, একটু ঝাঁকি দিল, এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল, সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই।
জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?
- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না, তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভাল।

এরকম ভুল প্রায় লোকই করে, সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো, কি আর হবে? কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না!

বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপদজনক!
কয়েক মাস আগের কথা, ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
একটু সন্দেহ হল, জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাওয়াইছেন বাবুকে?
- কেন? স্যালাইন।
- বানাইছেন কিভাবে?
- হাফ গ্লাসের মত পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলছি।
- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?
- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?
তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক! কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।

মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমত খাবেন। এটি ওষুধ- বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচন্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।
এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলতে হবে, ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে। আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবন প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।
এর কম পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে। বেশি পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।
একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।
কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না, কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না। এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন।
একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।

আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না। এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোন অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
লেখা: তারাকী হাসান।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সাম্প্রতিক হুমকি ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবা!


সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা; কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই মারা যাচ্ছেন আক্রান্ত মানুষটি। এ ঘটনা কেন ঘটছে—তার কোনো ধারণাই নেই কারও। এভাবেই গত ছয় মাসে ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবার শিকার হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

অ্যামিবা একটি এককোষী মুক্তজীবী প্রাণী। অতি ক্ষুদ্র এককোষী প্রাণীটি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানে ‘মগজখাদক’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়ে গেছে।
‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’ নামের এ অ্যামিবা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। পানির মাধ্যমে নাক দিয়ে এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে যায় এবং স্নায়ু ধ্বংস করে ফেলে। নদী, পুকুর, হ্রদ ও ঝরনার পানি যেখানে উষ্ণ, সেখানে এ ধরনের অ্যামিবা বাস করে। এ ছাড়া শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন মাটি ও সুইমিংপুলেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মেলে।

করাচিতে ১০ জন এ ধরনের অ্যামিবার শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মুসা খান। 
এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়লে মারাত্মক কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ থাকে হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর ও পেটব্যথা।

এ প্রসঙ্গে মুসা খান বলেন, পাকিস্তানের অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 
বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে মুসা খান বলেন, পানি যেন মানুষের নাকের বেশি গভীরে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দূষিত পানিতে সাঁতার কাটা বা গোসল করার সময় এ ধরনের অ্যামিবা মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশে যেন এ রোগটির পাদুর্ভাব দেখা না যায় এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকুন৷ এমন লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ অার খেয়াল রাখুন দুষিত পানি যেন নাকের ভিতর উপরের দিকে উঠতে না পারে৷
জনসচেতনতায় শেয়ার করুন৷
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, February 3, 2019

স্বামী-স্ত্রীর মারাত্মক এসব ভুলের কারণে সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে!

প্রজন্ম

যে সকল অবস্থায় দম্পতি যৌন মিলন করলে তা থেকে উৎপন্ন সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে এবং সেইসঙ্গে নিজেরও যেসব ক্ষতি হবে-

(১) রোগী ব্যক্তি মিলন করলে তার রোগ আরো বেড়ে যেতে পারে এবং শরীরের ক্ষতি হবে।
(২) শরীরে জ্বর ও বেশি গরমে মিলন করলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
(৩) স্ত্রীর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে মিলন করলে স্বামী-স্ত্রী দুই জনেরই রোগ হতে পারে।
(৪) ভরা পেটে মিলন করলে কঠিন রোগ হতে পারে।
(৫) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় মিলন করলে চিরতরে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
(৬) ভীষণ ক্ষুধার সময় মিলন করলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
(৭) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মিলন করলে মানসিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না!


লাল টুকটুকে রং, রসালো মিষ্টি স্বাদ। এমন লোভনীয় লিচুই যে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা কখনও ভেবেছিলেন কি?

মৌসুমি ফল লিচু সুস্বাদু আর বেশ মুখরোচকও। কিন্তু এই লিচুই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, সকালে খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না। খেলে বিপদ হতে পারে। এমনকি শিশুদের বেলায় এতে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। লিচু খেতে হবে ভরা পেটে এবং পাকা লিচু। সম্প্রতি ভারতের একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়, লিচুতে আছে 'মিথাইলিন সাইকোপ্রোপাইল গ্লাইসিন এমসিপিজি' নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি শরীরে ঢুকলে দেহে শর্করা উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যায়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। একপর্যায়ে বিশেষ করে শিশুদের বেলায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

খালি পেটে লিচু খেলে 'চমকি কি বিমারি' নামক একটি রোগ হয়। এই রোগে গত দু’বছরে বিহারের মুজফফরপুর এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এমনটাই ঘটেছে ভারতে। এক, দু’জন নয়, লিচু খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো শিশু। লিচুর জন্য বিখ্যাত বিহারের মুজফফরপুরেই এমন কাণ্ড ঘটেছে।

১৯৯৫ সালে প্রথমবার এই রোগের কথা জানা যায়। তারপর থেকে প্রতি বছরই লিচু খেয়ে বিহারে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

২০১৪ সালে মুজফফরপুরের মেডিক্যাল কলেজে ‘চমকি কি বিমারি’-তে আক্রান্ত হয়ে ৩৫০টি শিশু ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১২২টি শিশুর মৃত্যু হয়।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শিশুদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যৌথ তদন্ত শুরু করে।

সেই তদন্ত রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালি পেটে লিচু খাওয়ার পরে শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার কারণেই শিশুগুলির মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মৃত শিশুরা প্রত্যেকেই সকালবেলা খালিপেটে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেয়েছিল। পেট ভার হয়ে থাকায় তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত আর কিছু খায়নি।

যার ফলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা শর্করার পরিমাণ কমে যায়। বিশেষত যে শিশুদের লিভার এবং মাংসপেশিতে গ্লাইকোজেন গ্লুকোজ ধরে রাখার ক্ষমতা কম, তারাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় শরীরে এনার্জি উৎপাদনকারী ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লুকোজের অক্সিডেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।

তবে গবেষকেরা বলেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ভরা পেটে লিচু খেলে এমনটি হয় না। এ ছাড়া পাকা লিচু খেলেও তেমন কোনো ভয়ের কারণ নেই। পাকা লিচুতে উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদান সহনীয় মাত্রায় থাকে। ভয় শুধু কাঁচা লিচু খাওয়ার বেলায় এবং সেটা খালি পেটে খেলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সুস্থ সন্তান, সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে চাইলে এসব জেনে নিন এখনই!

প্রজন্ম

বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু নিরাপদ যৌন জীবন না, পরবর্তি প্রজন্মের সুস্থতার জন্যও প্রয়োজন। সবচে বড় কথা কয়েকটি স্বল্প খরচের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি অনেকগুলো জটিল রোগ নির্ণয় করতে পারবেন, পরবর্তি জটিলতা থেকে নিজে এবং নিজের স্ত্রী/ স্বামী, সন্তানকে মুক্ত রাখতে পারবেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিয়ের আগে যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করা বেশি জরুরি সেগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়া হল। লম্বা তালিকা দেখে আৎকে ওঠার কিছু নাই। সব সময়ই তো বেশি বেশি টেস্ট দেয়ার জন্য ডাক্তারকে গালমন্দ করেন। এবার নিজে থেকে, পরিবারের ভালোর জন্য কয়েকটা টেস্ট করান।

ইনফার্টিলিটি টেস্ট (Infertility Test):
বিয়ের পর আপনি সন্তান নিতে চান বা না চান, কিন্তু জেনে রাখতে হবে, আপনারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই শারীরিকভাবে সন্তান জন্মদানে সক্ষম কিনা। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। পুরুষদের জন্য সিমেন এনালাইসিস, মহিলাদের জন্য পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম, বিভিন্ন হরমোন লেভেল কাউন্ট, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট ইত্যাদি।

ব্লাড ডিজঅর্ডার টেস্ট (Blood-disorder Test):
থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়াসহ কয়েকটি রক্তের রোগ নির্নয়ের জন্য এটি খুবই জরুরি। যেমন হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রো ফোরেসিস টেস্ট। চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হলে কোন অবস্থাতেই হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রো ফোরেসিস পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখে সন্তান নেয়া উচিত না। জেনেশুনে একটি অসুস্থ বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার অধিকার আপনার নেই।

এসটিডি টেস্ট (STD Test):
সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি যৌনবাহিত রোগ নির্নয়ের জন্য এসব পরীক্ষা করা হয়। এন্টিবায়োটিক খেয়ে আগে জীবাণুমুক্ত হন, তারপর বিয়ের তারিখ ঠিক করেন।

এইচ আইভি(HIV), হেপাটাইটিস বি(HBV) এবং হেপাটাইটিস সি(HCV) ভাইরাসের এন্টিবডি টেস্ট:
আমরা টের না পেলেও নিরব ঘাতকের মত ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসগুলো। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মহিলা এইডস রুগি এইচআইভি ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে তাদের বিদেশ ফেরত স্বামীর মাধ্যমে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের সন্তানও এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মায়ের কাছ থেকে।

টর্চ স্ক্রিনিং (TORCH Screening):
টক্সোপ্লাজমা, রুবেলা, সিএমভি, হারপেস ভাইরাস এন্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে গর্ভধারনের আগেই বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি আছে নাকি জেনে নেয়া যায়। এরকম জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে, তাই এই স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্বও বেশি। সরকার অবশ্য এর মধ্যেই বিনামুল্যে ৯-১৪ বছরের বাচ্চাদের বিনামুল্যে রুবেলা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে।

জেনেটিক টেস্ট (Genetic Test):
ব্রেস্ট, কোলন বা ফুসফুস ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি বংশগত রোগ এই ধরনের টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।

মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা( Mental Health Assessment):
আমরা মানসিক রোগগুলো নিয়ে বরাবরই উদাসিন। অথচ বিয়ের পর কেবলমাত্র মানসিক রোগের কারনেই অনেকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

বয়স ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় (Age determination and blood grouping & Rh typing):
কম বয়সে (১৮ বছর) বিয়ে হলে যেমন সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তেমনি বেশি বয়সে (৩৫ বছর) বিয়ে হলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৫ বছরের বেশি না হওয়াই ভাল। এতে শারীরিক এবং মানসিক, দুই ধরনের স্বাস্থ্যই ভাল থাকে।অন্যদিকে পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের মায়ের গর্ভে নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের বাচ্চা বেড়ে উঠলে, জন্মের কিছুক্ষনের মধ্যেই বাচ্চা প্রাণঘাতী সমস্যায় পরতে পারে। একটির বেশি বাচ্চা নিলে এ রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়াও বিয়ের আগে রুটিন রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, বুকের এক্সরে, ইসিজি, সিরাম ক্রিয়েটিনিন করে নেয়া উচিত।
এক সময় ভ্যাক্সিন ছিল না, এখন অনেকগুলো ভ্যাক্সিন সরকারিভাবেই দেয়া হয়। এক সময় রক্ত নেয়ার আগে স্ক্রিনিং টেস্ট ছিল না, এখন স্ক্রিনিং ক্রস ম্যাচিং ছাড়া রক্ত দেয়ার কথা চিন্তাও করা যায় না।

আজকে আমাদের উপরের কথাগুলো হাস্যকর, বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। এক সময় দেখা যাবে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ "কবুল" বলছে না।

অপেক্ষায় থাকলাম।
© জাহিদুর রহমান।

ভালো থাকুন | School of Awareness

স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু ভুল ধারণা ও সঠিক উত্তর!


১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা! 
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা। 
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।

এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
সৌজন্যেঃ ডা. রিফফাত করিম।
সুত্র: "স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা" ফেসবুক পেজ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, February 2, 2019

মশার কয়েলের ব্যবহার কমান!


মশার কয়েলের ব্যবহারে সতর্ক হোন!
মশার কয়েলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় আবিষ্কৃত হয় যে, একটি শক্তিশালী মশার কয়েলে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে তা ১০০টি উচ্চ মাত্রার নিকোটিনের সিগারেটের সমান; এবং সম্প্রতি বাংলাদেশেই শক্তিশালী মশার কয়েল ব্যবহারের ফলে একটি বংশানুগতিক শ্বাসকষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত পরিবারে মশার কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে পিতা ও শিশুপুত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে, এই লেখার উদ্দেশ্য এই পরামর্শ দেওয়া নয় যে মশার কয়েল ব্যবহার করা ছেড়ে দিন। এর অর্থ হলো মশার কয়েলের ব্যবহার কমান। একান্ত ব্যবহার না করলেই নয় সেসব ক্ষেত্রে মশার কয়েল ব্যবহার করুন। মশা প্রতিরোধের বিকল্প পথ খুঁজুন/ বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করুন। মশারী ব্যবহার করুন। যেখানে মশারী বা অন্যান্য পদ্ধতি একেবারেই সম্ভব নয় শুধু সেখানেই মশার কয়েল ব্যবহার করুন।

কিছু বিকল্প পদ্ধতি এরূপ হতে পারে-
১. দিনের যে সময়টাতে রুমে মশা কম থাকে সেই সময়ে মশা তাড়িয়ে দিয়ে রুম মশামুক্ত করুন এবং মশা ঢোকার পথ রুদ্ধ করে দিন। শীতকালে এ কাজটা বেশ সহজ। গরমকালে দরজা ও জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট ব্যাবহার করতে পারেন; সুবিধার জন্য নেট ফ্রেমে বসাতে পারেন তাহলে ঘরের মাঝে সুন্দরভাবে পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করতে পারবেন আর ঘুমানোর সময় তো মশারি থাকছেই।
২. রুমকে মশামুক্ত করার জন্য কাজ করার পরও যদি দু একটা মশা থেকে যায় সেগুলোকে শায়েস্তা করতে মশা মারার ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৩. মশা তাড়ানোর তরঙ্গ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
৪. এর আগে আমাদের "টুকিটাকি" বিভাগে সুলভে মশা প্রতিরোধের একটি পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে, সেটা প্রয়োগ করতে পারেন। কমেন্টে সেই লেখার লিংক দেওয়া আছে।
আরো কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি বাজারে পেলে তাও প্রয়োগ করুন। তবে, এ্যারোসল ব্যবহার করবেন না; অন্য কোনো সময়ে এ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক ও তার বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
(সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া অবশ্যই কমাবেন, জেনে নিন এর ভয়ঙ্কর অপকারিতা!

অভ্যাস

মাত্রাতিরিক্ত লবণ গ্রহণ আমাদের স্বাস্থ্যের বহুবিধ মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে। সে সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে জেনে নিই লবণ গ্রহণের স্বাভাবিক পরিমাণ কী এবং কীভাবে আমরা অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করে থাকি।

সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ১গ্রাম এবং শিশুদের জন্য আরও কম লবণ গ্রহণ যথেষ্ট। কিন্তু অধিকাংশ দেশেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৭-১০গ্রাম লবণ গ্রহণ করে থাকেন। বাংলাদেশে এই লবণ গ্রহণের পরিমাণ আরও বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে লবণ গ্রহণের গড় পরিমাণ দিনে ১৬ গ্রাম। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি লবণ গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেক কমানো যায়, তাহলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে বিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ লোকের মৃত্যু প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কিছু নমুনা:
১. রান্নায় অতিরিক্ত লবণ দেওয়া: আমরা অনেকেই রান্না করার সময় তরকারিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ দেই এবং আমরা প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি লবণে রান্না করা তরকারি খেতে অভ্যস্ত।
২. খাবার টেবিলে লবণদানী: আমরা অনেকেই খাবার সময় রান্না করা খাবারেও অতিরিক্ত লবণ যোগ করে খেতে পছন্দ করি এবং খাবার টেবিলে ছোট লবণদানী রাখি।
৩. কাঁচা ফলমূলে লবণ যোগ করে খাওয়া: আমরা অনেকেই কাঁচা ফলমূল খেতে অভ্যস্ত এবং কাঁচা ফলমূল খাওয়ার সময় আমরা তাতে লবণ যোগ করে খাই। বিশেষ করে মেয়েরা এটা বেশি করে।
৪. বিভিন্ন প্রাঙ্গনের ছোট দোকান হতে: আমরা প্রায়ই অবসর সময়ে হাঁটাহাটি করতে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর গেট ও মাঠে ভ্রাম্যমাণ ছোট দোকান হতে আমড়া, গাজড়, শসা ইত্যাদি কিনে খাই এবং তা খাওয়ার সময় আমরা তাতে লবণ যোগ করে খাই।

এছাড়াও দেখা যায়, অনেকে খাওয়া শুরু করার আগেই জিহ্বাতে একটু লবণ দিয়ে নেন। খাবারকে সুস্বাদু করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন- কেচাপ, সয়াসস, টেস্টিং সল্ট, সালাদ বানানোর উপকরণ ব্যবহার করি; যেগুলোর মধ্যে অনেক লবণ থাকে।
লবণের কাজ খাদ্যকে পচন থেকে রক্ষা করা; এজন্য প্রক্রিয়াজাত এবং সংরক্ষিত খাবারে অধিক লবণ থাকে। বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রার জন্য অনেকে বাজার থেকে উচ্চ লবণযুক্ত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার কিনে আনেন। শুঁটকি মাছ, নোনা ইলিশে প্রচুর লবণ থাকে।
সিদ্ধ ডিম খেতে গেলে অনেকে লবণ দিয়ে খাই। মোট কথা, লবণ খাওয়া নিয়ে আমরা তেমন চিন্তাই করি না। শুধু জিহ্বার স্বাদের জন্য আমরা আমাদের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনি।
চাইনিজ, ফাস্টফুড, স্যুপ, তেলে ভাজা খাবার, কাবাবসহ বিভিন্ন মজাদার খাদ্যে এত বেশি লবণ থাকে যে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর! কিছু চাইনিজ খাবারে ২০ গ্রামেরও বেশি লবণ থাকে অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণের কয়েকগুণ।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের যেসব অঙ্গ প্রত্যাঙ্গের ক্ষতি করে: মাত্রাতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যাঙ্গের ক্ষতি সাধন করে থাকে; হার্ট, লিভার এবং কিডনি তার মধ্যে অন্যতম।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ হয় এবং এতে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে যা হার্টের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ মারাত্মকভাবে হাড় ক্ষয় করে থাকে।
অধিক লবণ পাকস্থলীর ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে পাকস্থলী ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনি নষ্টের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি।

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে যেসব রোগ হয়: অধিক লবণ গ্রহণের ফলে আমরা যেসব রোগে ভুগে থাকি, তা হল-

উচ্চ রক্তচাপ : সারা বিশ্বে ১৫০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের জন্য উচ্চ রক্তচাপ একটি প্রধান ঝুঁকি। উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ অধিক লবণ গ্রহণ। বিশ্বের যেসব জনগোষ্ঠী লবণ কম খান তাদের শতকরা ৮০ ভাগের উচ্চ রক্তচাপ থাকে না। উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের অধিক লবণ গ্রহণের ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে। লবণ কম গ্রহণ করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। দীর্ঘদিন ধরে লবণ কম গ্রহণ করলে তা বৃদ্ধ বয়সে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। বাচ্চাদের কোনোভাবেই অধিক লবণ খেতে দেয়া যাবে না। কারণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি শৈশব থেকেই শুরু হয়। বিশ্বে প্রতি বছর উচ্চ রক্তচাপে ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

স্ট্রোক: প্রাপ্তবয়স্কদের শারীরিক অক্ষমতা এবং পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ স্ট্রোক। স্ট্রোকের জন্য উচ্চরক্তচাপ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। উচ্চ রক্তচাপের কারণে শতকরা ৬৪ ভাগের স্ট্রোক হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সব ধরনের স্ট্রোকের শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওর: করোনারি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের ফলে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে যা হার্টের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে আমাদের রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লবণ কম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে, ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকি কমে।

অস্টিওপোরোসিস : হাড়ের কর্মক্ষমতার জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। হাড়ের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে লবণ গ্রহণের ভূমিকা আছে। অধিক লবণ গ্রহণ প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম নির্গমন বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমাদের হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয়ে হাড় পাতলা হয়ে যায় যাকে অস্টিওপোরোসিস বলে।

পাকস্থলীর ক্যান্সার : অধিক লবণ গ্রহণের ফলে পাকস্থলীর ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ইনফেকশন হতে পারে; এর ফলে পাকস্থলীর আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়। যে দেশের জনগোষ্ঠী বেশি লবণাক্ত খাদ্য গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতার হার অধিক থাকে।

কিডনি রোগ : উচ্চ রক্তচাপ মূত্রে প্রোটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করার জন্য প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ উপাদান। যারা কিডনি রোগী, অধিক লবণ গ্রহণ তাদের রোগকে বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু অতিরিক্ত লবণ প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের নির্গমন বাড়িয়ে দেয় সেহেতু এ ক্যালসিয়ামের কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা থাকে। অধিক লবণ গ্রহণে শারীরিকভাবে স্থূল হওয়ার আশংকা বাড়ে এবং অ্যাজমার উপসর্গ বৃদ্ধি পায়।

অধিক লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার উপায়:
১. রান্নায় অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন; ধীরে ধীরে লবণ ব্যবহারের পরিমাপ ক্রমাগত কমিয়ে এনে কম লবণে অভ্যস্ত হোন।
২. রান্না করা খাদ্যে অতিরিক্ত লবণ যোগ করে খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন।
৩. কাঁচা ফলমূলে লবণ দিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪. বিভিন্ন প্রাঙ্গনের ভ্রাম্যমাণ দোকান হতে আমড়া, গাজড়, শসা ইত্যাদিতে লবণ দিয়ে খাবেন না, আগেই বলে রাখুন লবণ ছাড়া দিতে।
৫. ফাস্টফুড, রেস্টুরেন্ট এবং ক্যান্টিনের খাবারে প্রচুর লবণ থাকে, এসব কম খান।
৬. লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
৭. খাদ্য সংরক্ষণে লেবুর রস, ভিনেগার, কাঁচা রসুন, মসলা ব্যবহার করুন।
৮. খাদ্যকে সুস্বাদু করার উপাদান যেমন- কেচাপ, সয়া সস, সালাদ বানানোর উপকরণ কম ব্যবহার করুন।
৯. বড়িতে একেবারে কম লবণ দিয়ে সস, কেচাপ, আচার, সালাদ বা অন্যান্য খাদ্য তৈরি করুন।
(সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি নিয়ে কিছু কথা যা জানা প্রয়োজন!

খাদ্য

ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে, আর ক্যালসিয়াম শরীরে শোষণ করে কাজে লাগাতে দরকার হয় ভিটামিন ডি। এসব আজকাল প্রায় সবাই জানে। হাড় ক্ষয় রোধ করতে বা হাড় মজবুত করতে ওষুধের দোকান থেকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির কৌটা কিনে খাওয়াটা অনেকের কাছেই এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু আসলে বয়স হলেই কি ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি বড়ি খাওয়া উচিত?

গড়পড়তা একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি হলে চলে। রজঃনিবৃত্তির (মেনোপজ) পর নারীদের এবং সত্তরোর্ধ্ব পুরুষদের দরকার হয় একটু বেশি ক্যালসিয়াম—১২০০ মিলিগ্রাম। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরও লাগে একটু বেশি। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এমনকি উন্নত পশ্চিমা বিশ্বেও নারীরা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে থাকেন।

জেনে রাখা ভালো যে ওষুধপত্র ছাড়া কীভাবে আমরা এগুলো বেশি করে পেতে পারি। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম আছে। এক কাপ ননিবিহীন দুধ বা এক কাপ সয়া দুধে পাবেন ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এক কাপ টকদইয়ে থাকে আরও বেশি—৪০০ মিলিগ্রামের মতো। আধা বাটি রান্না করা সবুজ পাতাঅলা শাক খেলে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া হবে। এক গ্লাস কমলার রসে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম আছে কাঁটাযুক্ত মাছ, ব্রকলি ইত্যাদি খাবারে।

তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম বড়ি সেবন করা যাবে বটে, তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম কার্বনেট বড়ি তাই খাওয়ার পরপর খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ওষুধ অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে যেসব ওষুধ অ্যাসিডিটি কমাতে ব্যবহৃত হয়। একসঙ্গে ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম ওষুধ অন্ত্রে শোষিত হয় না, তাই বেশি মাত্রার ওষুধ খেয়ে লাভ হয় না। ক্যালসিয়াম অন্ত্রে শোষণ করতে ভিটামিন ডি লাগে, তাই ভিটামিন ডি কম থাকলে এটিসহ খেতে হবে।

এ ছাড়া সূর্যালোকে আছে প্রচুর ভিটামিন ডি। ডিমের কুসুম, লোনা পানির মাছেও আছে এ ভিটামিন। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে যেমন, তেমনি দীর্ঘদিন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি বড়ি খাওয়ার বেলায়ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. মৌসুমী মরিয়ম সুলতানা
ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা।
সুত্র: দৈনিক "প্রথম আলো।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 1, 2019

অবহেলা করবেন না হার্ট অ্যাটাকের এই ৯টি লক্ষণ!

রোগব্যাধি

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক সাধারণ আর দশটি রোগের মত নয়। প্রথমে খুব সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও পরবর্তীতে সেটি অবহেলার কারণে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। medicinenet.com এর মতে আমেরিকায় প্রতি বছর ১.১ মিলিয়ন আমেরিকান হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে ৪,৬০,০০০ লক্ষ মানুষের হার্ট অ্যাটাক মারাত্নক পর্যায়ে হয়ে থাকে। প্রতিটি হার্ট অ্যাটাকের যে কিছু নিদিষ্ট ও সাধারণ কারণ থাকবে, তা কিন্তু নয়। webmd.com এর মতে সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা হবে, তা নয়। বুকে ব্যথা ছাড়াও কিছু লক্ষণ আছে যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

১। বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হয় বুকে ব্যথা। সাধারণত বুকের মাঝখান থেকে প্রচন্ড চাপ ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

২। শ্বাস কষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া
যদি আপনার অ্যাজমা বা অন্য কোন সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস কষ্ট সমস্যা দেখা দেয় মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমা সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃ শ্বাস নেওয়াও ভবিষ্যত হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।

৩। ঘাম হওয়া
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস রোগীর ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা ছাড়া অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগা শুরু হলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৪। কাশি
আপনার যদি দীর্ঘদিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সাথে সাদা বা গোলাপি কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিকমত কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ কাশি সবসময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সাথে নিয়মিত রক্ত বের হলে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

৫। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
যদি কাজের মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তাহলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে। এটি যদি কোন দুশ্চিন্তার কারণে না হয়ে থাকে তবে দ্রুত কোন রকম ঝুঁকি না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬। খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া 
আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোন হার্টের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি হয়ে থাকে। 

৭। মাথা ব্যথা
যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হল প্রতিদিনকার প্রচন্ড মাথা ব্যথা।

৮। বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া
আপনার বিভিন্ন অঙ্গে বিশেষ করে হাত-পায়ের গিঁট ব্যথা ও ফুলে যাওয়া সরাসরি হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। তবে দীর্ঘদিন হলে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরে পানি চলে আসার করণে শরীরের পানি চলে আসে , যার কারণে হাত-পায়ের গিঁট ফুলে যায়। বিশেষত অনেকক্ষণ কোথাও বসে থাকলে পায়ে পানি চলে আসে। নিয়মিত এটি ঘটলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

৯। অনিয়মিত পালস রেট
আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট উঠা নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোন কারণ ছাড়াই উঠা নামা করে সেটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিতভাবে যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তবে অতিসত্ত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিকস বা উচ্চ রক্তচাপ রোগীরা উপরোক্ত কোন কারণকে অবহেলা করবেন না। উপরোক্ত যেকোন একটি কারণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness