Sunday, December 8, 2019

সেলুনে ঘাড়-পিঠ মালিশ করানো হতে বিরত থাকুন


বাজে একটা অভিজ্ঞতা হয় অনেকের!
চুল কাটার পর একটু ঘাড়-পিঠ মালিশ করে নেয় ৫-১০ মিনিট। বিনিময়ে তাকে কিছু বকশিশ দেয়। একদিন ঘাড় মালিশ করার সময় কট করে একটা আওয়াজ হয়, একটু সামান্য ব্যথাও করে উঠেছিল। কিন্তু ছেলেটি অতটা গ্রাহ্য করেনি। দু-একদিন পর সে ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে লাগল। ক্রমে ব্যথা বাড়ছে। মা ভাবলেন, হয়তো উল্টাপাল্টাভাবে শোয়ার জন্য ঘাড়ে ব্যথা হয়েছে। মা প্রতিদিন ঘাড়ে গরম সেঁক দিতে শুরু করলেন। কিন্তু কিছুতেই ব্যথা কমছে না; বরং দিনদিন বাড়ছেই। একপর্যায়ে ব্যথা হাতের মধ্যে আঙ্গুল পর্যন্ত আসতে শুরু করল। ব্যথার জন্য ঘাড় নাড়ানোও তার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠল। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস হয়েছে ।
ঘাড়ের এম আর আই (MRI) ও নার্ভ কনডাকশন স্টাডি পরীক্ষা করে সেটি প্রমাণিত হলো। মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মাঝে এক ধরনের ডিস্ক থাকে সেখান থেকে স্মায়ুগুলো বের হয়ে এসে আমাদের হাতে ছড়িয়ে পড়ে। যখন কোন কারণে ওই ডিস্ক সরে গিয়ে স্মায়ুর উপর চাপ দেয় তখন ব্যথা ঘাড় থেকে হাতের দিকে আসে এটাকে সারভাইক্যাল ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রলেপস বলে ।
এক্ষেত্রে চিকিৎসা হল ঔষধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম অর্থাৎ হাটাচলা বা মুভমেন্ট করা যাবে না। এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ২-৪ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। এটাতে অবস্থার উন্নতি না হলে অপারেশনও লাগতে পারে।
উক্ত বালকটির এই সমস্যাটি কেনো হলো? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, নরসুন্দর ঘাড়-পিঠ মালিশ করে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কোন কোন সময় মাথার ওপর চাপ দেয়, কখনো ঘাড় বাঁ দিকে ও ডান দিকে কাত করে। এসব মালিশ ঘাড়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে ঘাড়ের স্মায়ুতে চাপ পড়ার আশঙ্কা থাকে।

♦এখন পরামর্শ হলোঃ
• সেলুনে গিয়ে কখনো ঘাড় বা মাথা মালিশ করাবেন না।
• ঘাড় কখনো খুব বেশি পেছনে বা পাশে কাত করতে দেবেন না। এতে হঠাৎ করে সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস হয়ে যেতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, November 16, 2019

ওষুধের (ট্যাবলেট) মেয়াদ আছে কিনা তা দেখে নিন!


কীভাবে বুঝবেন যে ঔষধ খাচ্ছেন সেটার মেয়াদ আছে কি নেই? যারা জানেন না এখনই জেনে নিন।
দোকান থেকে ঔষধ কেনার সময় হয় সম্পূর্ণ স্ট্রিপ বা ঔষধের পাতা কিনছেন বা দোকানদার পূর্ণ স্ট্রিপ থেকে কেটে কয়েকটি দিচ্ছেন, পূর্ণ স্ট্রিপ কিনলে কেনার আগে কিছু জিনিস খেয়াল করুন বা যে স্ট্রিপ থেকে কেটে দিচ্ছে, কাটার আগে দোকানদারের হাত থেকে নিয়ে চেক করুন, ঔষধের স্ট্রিপ এর গায়ে উপরে বা নিচের অংশে স্পষ্ট কিছু ইংরেজি সংখ্যা এবং অক্ষরে ওই ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়কাল লেখা আছে। লাল তীর চিহ্ন দিয়ে ইংরেজি "E" অক্ষরের পাশে মেয়াদ উত্তীর্ণের মাস এবং বছর দেয়া থাকে, এখানে "E" তে Expire বুঝানো হয়েছে, প্রথম দুটো সংখ্যা মাস কে বুঝায়, পরের দুটো সংখ্যা বছর বুঝায়, যেমন : E0322, মানে হলো এই ঔষধের মেয়াদ ২০২২ এর মার্চ মাস পর্যন্ত। এইভাবে সব ঔষধের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকনির্দেশনা পাবেন, কেনার আগে দেখে কিনবেন। সহজে বোঝার জন্য উক্ত ঔষধের স্ট্রিপের ছবিটিতে তা চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে।
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)

ভালো থাকুন |  School of Awareness

Saturday, April 20, 2019

ভয়ংকর শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে মানববিধ্বংসী দৈত্য 'এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট' ব্যাকটেরিয়া!


আজ আপনাদের একটা ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই ভাবতে পারি না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।
স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (পিজি হাসপাতাল)। ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।
ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়-ব্লাড কালচার। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াযুক্ত রক্তকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই রক্তকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।
এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।
উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়ে চেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পূর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিঃশ্বাস-হাঁচি-স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কিনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, যে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।
শুধু জি-ম্যাক্স কেন?

আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেই যাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন।
ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, যে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!
ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।
আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?
যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?
আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইল ফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?
আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয় ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।
অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কি আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।
প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে যাবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডলফিন, কখনো হাতি ঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের পরে বুদ্ধিমান প্রাণী। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?

বাঁচার উপায়?
শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহূর্তে এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিসেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।
খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড... ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে। এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি বুকে হাত বাদ দিয়ে নিজের ধর্মগ্রন্থের উপর হাত রেখে প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।
Do you believe my Status?
Who cares?
Fight or Die.
Choice is yours!
• আমি অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক খাই না।
• খেলেও ডাক্তারের কথা বিশ্বাস করে ফুলডোজ খাই।
• ফার্মেসীর কথা শুনে এন্টিবায়টিক বদলাই না, ডোজ কমাই না।
লেখাঃ ডা. রাজীব হোসাইন সরকার।

('সাদা এপ্রোন' ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহীত; মূল লেখাটি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন)।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 13, 2019

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ!


জেনে নিন, মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ সম্পর্কে এবং এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত শব্দগুলোর অর্থ→

(সংগৃহীত)

জেনে নিন প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত টার্মগুলোর অর্থ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীরা যেসব কাজ করবেন না!


প্রতিটি নারীর জন্য পিরিয়ড বা মাসিক খুবই সাধারণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়। এই মাসিকের সময় নারীদের কিছু কাজ করা থেকে, কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্যে।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিম্নের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন:

১. পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
২. এসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া
আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
৩. এসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকা রস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু
প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুতে ঘাঁ কিংবা বন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। দয়া করে এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিন।

আপনার শেয়ার করার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া। জরায়ু ক্যান্সার ও বন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা বোনেরা।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

সন্তান নেওয়ার পূর্বে নিজেদের থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করে নিন।

প্রজন্ম

বিয়ে করেছেন মনের মানুষটিকেই। সুখের সংসার। সন্তান নেয়ার কথাও চিন্তা করছেন। কিন্তু হয়তো জানেনই না যে কেউ একজন কিংবা দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার কিনা।
আপনাদের অজ্ঞতার কারণেই আপনাদের অনাগত সন্তানের জীবন থ্যালাসেমিয়া নামক এক জীবনঘাতী রোগের কারণে হয়ে যেতে পারে অভিশপ্ত।
হ্যা আপনারাই এতে দায়ী। তাই আর দেরী না করে যারা বিয়ে করে সন্তান নেবার কথা ভাবছেন এমনকি অনেকে হয়তো প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আছেন তারা নিজেদের সাথে সাথে আপনাদের অনাগত শিশুর থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করিয়ে নিন।
আপনাদের আজকের সঠিক পদক্ষেপেই আগামী দিনে জন্ম নেবে এক সুস্থ শিশু আর আমরা পাবো একটি থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ।
জেনে রাখুন যে, বাংলাদেশী জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৪.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বাংলাদেশে প্রায় ২লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হবে ৫০,০০০ প্রতি বছর।
একটু সচেতনতা আর একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ বাঁচাতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
তাই দেরি নয়। প্রতিরোধ এখনি!
থ্যালাসেমিয়ার টেস্ট সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য কল করুন:
DNA Solutions Ltd. ০১৯৭১৫৯৪২০৫ এই নাম্বারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনে নিন, কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে!


প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন নেওয়া প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক; দেখুন, কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হয় আর কোন কোন প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হয় না।

যে সকল প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দিতে হবে- ১. কুকুর, ২. বিড়াল, ৩. শিয়াল, বেঁজি, ৫. বানর, ৬. বাদুর।

যে সকল প্রাণীর কামড়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন নাই- ১. ইঁদুর, ২. খরগোস, ৩. কাঠবিড়ালী, ৪. গুঁইসাপ, ৫. মানুষ।

যে সকল অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে সমস্যা নাই- ১. গর্ভাবস্থায়, ২. মায়ের দুগ্ধদানকালে, ৩. অন্য যেকোনো অসুস্থতায়, ৪. ছোট বাচ্চা, ৫. বৃদ্ধ।

নোট: ক্ষতস্থানে কমপক্ষে ১০-২০ মিনিট ধরে প্রচুর পরিমাণে কাপড় কাচার সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 8, 2019

বয়সের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা!


বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি বাসা বাঁধতে শুরু করে। আর রোগ-ব্যাধি সব সময় বলে-কয়ে আসে না। তাই বেশির ভাগ সময় রোগের জটিল পর্যায়ে মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক রোগ শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা নিলে মারাত্মক সব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত করতে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তাকে স্ক্রিনিং টেস্ট বলে। আসুন জেনে নিই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কী কী স্ক্রিনিং টেস্ট করা জরুরি।

রক্তের শর্করা
রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়লে ডায়াবেটিস হয়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, অন্ধত্বসহ নানা ধরনের জটিলতার জন্য দায়ী। প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস শনাক্ত ও জটিলতা এড়াতে চল্লিশের পর সবার উচিত রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা।

লিপিড প্রোফাইল
উচ্চমাত্রার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ধমনির গায়ে জমে হৃদ্‌রোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বয়স ৩৫-এর বেশি হলে বছরে অন্তত একবার লিপিড প্রোফাইল করতে হবে। হৃদ্‌রোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে বা এগুলোর পারিবারিক ইতিহাস থাকলে তা আরও নিয়মিত করতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে যেকোনো বয়সেই। তবে চল্লিশের পর আশঙ্কা বেশি। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্ট ফেইলিওর, স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা হতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে।

চক্ষু পরীক্ষা
চল্লিশের পর সাধারণত দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। পড়তে শুরু করে চোখের ছানি। গ্লুকোমা হলে চোখের অপটিক নার্ভ ধীর ধীরে নষ্ট হয়ে দৃষ্টিহীনতা দেখা দেয়। তাই চল্লিশের পর অবশ্যই বছরে একবার চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি।

ক্যানসার স্ক্রিনিং
ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ কোলোরেক্টাল ক্যানসার। উপসর্গবিহীন এই রোগ একবারে শেষ পর্যায়ে ধরা পড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে এ বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

তাছাড়া চল্লিশের পর প্রত্যেক পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসার এবং নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসারের পরীক্ষা করাতে হবে।

হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা
হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে অস্টিওপোরেসিস হলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। বয়স চল্লিশ পার হলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করাতে হবে।

- ডা. এ হাসনাত শাহীন,
ডায়াবেটিস ও হরমোন বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল।

উৎস: দৈনিক 'প্রথম আলো'য় ডা. এ হাসনাত শাহীন এর লেখা থেকে সংগৃহীত।

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনে নিন, পিতামাতার রক্তের গ্রুপ সন্তানের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলে?

এই বর্ণনা থেকে সহজভাবে জেনে নিতে পারেন পিতামাতার রক্তের গ্রুপ সন্তানের উপর কীরূপ প্রভাব ফেলে থাকে।

(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

যেসব খাবার ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়!


ফ্রিজে আলু, টমেটো ও আপেলের মতো খাবারগুলো রাখা ঠিক নয়।

এখনকার দিনে বাড়িতে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর অনেকে জরুরি বলে মনে করেন। এতে অনেক খাবার সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু রেফ্রিজারেটরে সব খাবার রাখা যায় না। পরিচিত খাবারের মধ্যে কিছু খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে তার স্বাদ ও গন্ধ বদলে যায়। কমে যায় পুষ্টিমান। কয়েকটি পরিচিত খাবার আছে, যা ফ্রিজে না রাখাই ভালো:

টমেটো: অনেকে টমেটো কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। এতে টমেটো নিস্তেজ ও ময়দার তালের মতো তুলতুলে হয়ে যায়। একটা খোলা কনটেইনারে টমেটো ভরে জানালার পাশে রাখতে পারেন। এতে টমেটো সতেজ ও টুসটুসে থাকবে।

আলু: আলু যে ফ্রিজে রাখতে নেই—এ কথা অনেকেরই জানা। ফ্রিজে রাখলে আলুর শর্করার গুণাগুণ নষ্ট হয়। আলুতে যে মিষ্টি ভাব থাকে, ফ্রিজের হিমাগার তা শুষে নেয়। এতে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখার চেয়ে খোলা ঝুড়িতে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালো থাকে আলু।

পেঁয়াজ: ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখলে নরম হয়ে নষ্ট হতে পারে। যদি রাখতেই হয়, ব্যাগে ভরে সবজির ড্রয়ারে রাখতে পারেন। তা না হলে ফ্রিজের আর্দ্রতায় পেঁয়াজ ভালো থাকবে না।

মধু: মধুর মধ্যে থাকা সুগার ঠান্ডা হাওয়ায় কেলাসিত হয়ে যায়, যা মধুর স্বাদ ও গুণাগুণ একদম কমিয়ে দেয়। তাই মধু ফ্রিজের বাইরে রাখাই উচিত। 

রসুন: ফ্রিজে রাখলে রসুন খুব তাড়াতাড়ি অঙ্কুরিত হয়ে যায়। এমনকি রসুন অপেক্ষাকৃত নরম হয়ে যায়। তবে রসুন বেটে বা ব্লেন্ড করে রাখতে পারেন।

পাউরুটি: পাউরুটির নিজস্ব আর্দ্রতা রয়েছে। ফ্রিজে রাখলে পাউরুটি আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। শক্ত হয়ে যায়।

কফি: বায়ু চলাচল করতে পারে না—এমন কনটেইনারে কফি রাখা উচিত। ফ্রিজে রাখলে কফি বিন বা পাউডারের আর্দ্রতায় নষ্ট হয়ে যায়। এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। কফির গন্ধ চলে যায়। এর বদলে একধরনের দুর্গন্ধ তৈরি হয়।

আপেল: স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আপেল মিষ্টি আর রসাল থাকে। ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এ ছাড়া বাইরের আবরণ শুষ্ক হয়ে যায়। আপেলের রসাল ভাব থাকে না।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, February 7, 2019

এক রাত ভালো ঘুম না হলে যে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন আপনি, জানুন কেনো?


শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকঠাক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা।

বয়স অনুযায়ী ঘুমের হিসাব
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে। ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে কারো কারো নিয়মিত ৭ ঘণ্টা ঘুমালেও চলতে পারে। আর বয়ঃসন্ধির সময়টাতে অনেকেরই প্রায় ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ১১ ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে।

মার্কিন গবেষক দলটির অন্যতম সদস্য শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটির লিডিয়া ডনকারলোস বলেছেন, সারকাডিয়ান ক্লক বা দেহঘড়ির প্রভাবে টিনেজারদের সাধারণত রাতে একটু দেরিতে ঘুম পায় এবং ওরা দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে চায়। কিন্তু যখনই ঘুমাক আর যখনই উঠুক, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোটা খুবই জরুরি। তিনি আরও বলেন, ছুটির দিনে ঘুম পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তা অনেকেই করে বটে কিন্তু আসলে ‘বকেয়া ঘুম কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যায় না’।

১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, তবে কারও কারও নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুমেও সব ঠিকঠাক থাকতে পারে। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। কিন্তু অনেকেই দিনের বেলায় ভাতঘুম দিয়ে রাতে নিয়মিত ৫ ঘণ্টাতেও দিব্যি ভালো থাকতে পারেন।

শতকরা ৪০ ভাগ লোক এর চেয়ে কম ঘুমায় । মাত্র এক রাত ঘুম কম হলেই আপনার শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে। যথেষ্ট ঘুম না হলে চোখ লাল হয়, গায়ের চামড়ার রঙ নষ্ট হয়। অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

যথেষ্ট ঘুম না ঘুমালে কী কী ক্ষতি হয়—
ঘুম কম হওয়া বা কিছু সময় ধরে ঘুম কম হওয়ার সমস্যাটি শুরুতে অল্প থাকলেও পরে তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের ঘুম না হওয়ার পিছনে অনেক কারণের একটি হচ্ছে খাবার-দাবার। অতিরিক্ত ক্যালরি আছে এমন খাবার বা অতিরিক্ত শর্করার খাবার খেলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

জেনে নিন ঘুম না এলে কি করবেন?
১৫ জন লোকের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে মাত্র এক রাত ঘুম না হলেই মস্তিষ্কের কোষের ক্ষয় শুরু হয়। ১৭৪১ জন নারী এবং পুরুষের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যারা ১০ থেকে ১৪ বছর ধরে ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমান তাদের মধ্যে মারাত্মক ধরনের মৃত্যুহার বেশি থাকে। তাছাড়া তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো অনেক রোগের হার বেশি।

এক রাত কম ঘুমালে যে সমস্যা হয়—
১) ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং আপনি বেশি খেতে শুরু করেন।
২) যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকির মধ্যে থাকেন আপনি।
৩) আপনি দেখতে যেমন আপনাকে তার চেয়ে খারাপ দেখায়।
৪) ঠাণ্ডা-সর্দি লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫) আপনার মস্তিষ্কের টিস্যু নষ্ট হওয়া শুরু হয়।
৬) আপনি সামান্য কারণে ইমোশোনাল হয়ে যান।
৭) আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে।

একরাত ঘুম কম হওয়া বা অল্প সময়কাল ধরে ঘুম কম হওয়ার সমস্যাটি পরে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এটি রূপ নিতে পারে নিয়মিত ঘুম কম হওয়া বা ঘুম না হওয়ার সমস্যায়।

প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ঘুম না হওয়ার কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর নিয়মিত ঘুম কম হলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে থাকে।

নিয়মিত কম ঘুমালে যে সমস্যাগুলি হয়—
১) স্ট্রোক করার ঝুঁকি চারগুণ বেড়ে যায়
২) অবেসিটি রিস্ক বেড়ে যায়। ফলে তাড়াতাড়ি আপনি মোটা হতে থাকেন।
৩) কোনো ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৫) হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৬) আপনার শরীরে শুক্রাণু কম উৎপন্ন হতে থাকে।
৭) মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

এই দশটি খাবার ফ্রিজে রাখতে নেই!

খাদ্য

আমাদের মাঝে প্রচলিত একটি সাধারণ বিশ্বাস হলো ঠাণ্ডা আবহাওয়া আমাদের খাদ্য উপাদানগুলোর জন্য নিরাপদ এবং আরো বেশি স্বাস্থ্যকর। কেননা নিচু তাপমাত্রা আমাদের খাদ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে এমন সব অণুজীব এবং ব্যাকটেরিয়াকে দমণ করে। আর এই বিশ্বাসের কারণেই আমরা কাঁচা মাংসের মতো খাবার ফ্রিজে রাখি। কিন্তু একই নিয়ম অন্য সব খাবারের বেলায়ও প্রয়োগ করতে গিয়েই আমরা বিপত্তিটা বাঁধাই। বাস্তবে সব খাবারের বেলায়ই এই নিয়মটা প্রযোজ্য নয়। বেশ কিছু খাদ্য বা সবজি আছে যেগুলো ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রাখলেই ভালো থাকে, আবার এমন কিছু খাদ্য আছে যেগুলো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এমন দশটি খাদ্য রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে না রেখে বরং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলেই বেশি ভালো থাকবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী—

১. টমেটো
কাঁচা টমেটো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। যাতে সেগুলো আরো সুস্বাদু এবং রসালো হয়। চরমভাবাপন্ন তাপমাত্রায় টমেটোর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পুরোপুরি পেকে গেলে এরপর আপনি টমেটো প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে ফ্রিজ রাখতে পারবেন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করার পর আধা ঘন্টা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তারপর রান্না করুন।

২. পেঁয়াজ
খোসাযুক্ত পেঁয়াজের বেঁচে থাকার জন্য দরকার হয় আলো-বাতাসের। আপনি যদি ফ্রিজে খোসাসহ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করেন তাহলে সেগুলো অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে পঁচে যেতে পারে। ফলে ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে গেলে তা সবসময়ই খোসা ছাড়িয়েই রাখবেন। পেঁয়াজ আপনি খোলা জায়গাও রাখতে পারেন কিন্তু তা যেন অবশ্যই সূর্যের আলো থেকে দূরে হয়। এছাড়া ছিদ্রযুক্ত কাগজের ব্যাগেও আপনি পেঁয়াজ রাখতে পারেন।

৩. বাদাম এবং শুকনো ফল
আমাদের অনেকেই বাদাম এবং শুকনো ফল ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন এই আশায় যে এতে সেগুলোর স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হবে না বা পঁচে যাবে না। কিন্তু এতে বরং হিতে বিপরীত হয়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বরং তাদের স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং ফ্রিজে থাকা অন্যান্য গন্ধও তাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এরচেয়ে বরং তাদেরকে বায়ুরোধী পাত্রে রেখে খোলা জায়গায় রাখুন।

৪. রসুন
আপনি যদি ফ্রিজে রসুন সংরক্ষণ করেন তাহলে তা থেকে গেঁজ বের হতে শুরু করবে এবং তা রাবারের মতো হয়ে যেতে থাকবে। সুতরাং শুকনো এবং শীতল স্থানে রসুন সংরক্ষণ করুন।

৫. পুদিনা পাতা
আপনি যদি পুদিনা পাতা ফ্রিজে রাখেন তাহলে সেগুলোর স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হয়ে যাবে। ঠাণ্ডা তাপমাত্রা তাদের সতেজভাব দ্রুত নষ্ট করে এবং শুষ্ক করে তোলে। পুদিনা পাতা সংরক্ষণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো সেগুলোকে পানিভর্তি জারে রাখা এবং সেই জারের মুখ খুলে রাখা।

৬. আলু
আলু কখনো ফ্রিজে রাখার দরকার নেই। শুধু ছিদ্রযুক্ত রেখে সংরক্ষণ করুন। ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখলে আলুতে থাকা শ্বেতসার সব সুগারে রুপান্তরিত হয়। ফলে রান্নার সময় আলুর রঙ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সুতরাং আলো থেকে দূরে এবং না ধুয়েই আলু সংরক্ষণ করুন। আর্দ্রতা আলুকে দ্রুত নষ্ট করে।

৭. মধু
মধু কখনোই ফ্রিজে সংরক্ষণ করার দরকার নেই। ফ্রিজের বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও মধু খুবই মসৃণ এবং তাজা থাকবে। তবে মধু যে পাত্রে রাখবেন তার মুখটি ভালো ভাবে আটকে রাখুন। প্রকৃতপক্ষে, মধু ফ্রিজে রাখলে তা জমে যেতে পারে।

৮. অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল বা যে কোনো ধরনের রান্নার তেল ফ্রিজে রাখবেন না। এতে সেগুলো জমে যেতে পারে এবং মাখনের মতো শক্ত রুপ ধারন করতে পারে। নারকেল তেলের বেলায়ও একথা সত্য। আপনার কিচেন ক্যাবিনেটের কোনো শীতল জায়গায় এগুলো সংরক্ষণ করুন কিন্তু তাপ থেকে অবশ্যই দূরে রাখবেন।

৯. তরমুজ
জার্নাল অফ অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজ বা খরমুজ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় রাখলে এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় তরমুজের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খোলা জায়গায় ফলের যারকে সংরক্ষণ করলেই বেশি ভালো থাকবে।

১০. রুটি
আপনি হয়তো এতদিন ফ্রিজেই সংরক্ষণ করে আসছিলেন রুটি। কিন্তু সময় এসেছে পরিবর্তনের। ফ্রিজে রুটি রাখলে তা শক্ত এবং রাবারের মতো হয়ে যেতে পারে। আর তাছাড়া ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র তাপমাত্রা রুটি আরো দ্রুত বাসি হয়ে পড়তে পারে।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

ভালো থাকুন | School of Awareness

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারে সতর্কতামূলক তথ্যাদি, এখনই জেনে নিন!


বোতলের তলায় ত্রিকোণ চিহ্নটা কখনও খেয়াল করেছেন, জানেন কি এর অর্থ?
ঘরে বাইরে এখন প্লাস্টিকের প্লেট, বোতলের ছড়াছড়ি। খাবার রাখা থেকে পানি রাখা— সবকিছুতেই এই প্লাস্টিক বোতল। কিন্তু, কখনও আমরা কেউ খেয়াল করি না প্লাস্টিকের বোতলের গায়ে থাকা চিহ্নগুলিকে।
পড়ে গেলে চট করে ফেটে যায় না। বোতল পরিষ্কার করাও সোজা। ব্যবহারের এমন সোজা-সাপটা সুবিধায় প্লাস্টিকের বোতলের চল বাড়তে বাড়তে এখন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, আমরা না বুঝেই দিনের পর দিন এই সব প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করে থাকি। অনেকে তো বাচ্চার দুধ ভর্তি প্লাস্টিকের ফিডিং বোতলটাই গরম করে বসেন। প্লাস্টিক বোতলের এমন যথেচ্ছা ব্যবহার আসলেও কি স্বাস্থ্যকর? এ বিষয়ে বাছ-বিচার করি না আমরা। তাই প্লাস্টিক বোতলের তলায় থাকা ত্রিকোণ চিহ্নের মানেটা বুঝে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে নিমেষে।

Plastic Bottle Symbols:-
১. ত্রিকোণ চিহ্ন— এটা আসলে প্লাস্টিক বোতলের চারিত্রিক ইনডেক্স। এই চিহ্নটা থাকলে বোঝা যায় বোতলটি বিধিসম্মতভাবে তৈরি। কিন্তু, বোতলটা ব্যবহারের কতটা নির্ভরযোগ্য বা কী ধরনের জিনিস তাতে রাখা যাবে, তা ত্রিকোণ চিহ্নের মধ্যে থাকা সংখ্যা দ্বারা বোঝা যায়।
২. ত্রিকোণের মাঝে ১ সংখ্যা থাকলে— এর মানে বোতলটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে এবং বোতলটিতে পলিথিলিন টেরেপথ্যালেট প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধরনের বোতল বহুব্যবহারে স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
৩. ত্রিকোণের মধ্যে ২ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বোতলে ঘন পলিথিন ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের বোতল ব্যবহার হয়।
৪. ত্রিকোণের মধ্যে ৩ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের বোতল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এই বোতল তৈরি হয় ‘পোলিভিনিল ক্লোরাইড’ বা ‘পিভিসি’ থেকে। এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ‘পিনাট বাটার’ রাখতে এই বোতল ব্যবহার করা হয়।
৫. ত্রিকোণের মধ্যে ৪ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক বহু ব্যবহারের উপযোগী। বিশেষ করে, প্লাস্টিকের প্যাকেটে এই চিহ্ন প্রচুর দেখা যায়। খুব দামি বোতলে এই চিহ্ন থাকে।
৬. ত্রিকোণের মধ্যে ৫ সংখ্যা থাকলে— এই ধরনের প্লাস্টিক একদম নিরাপদ এবং ব্যবহারেরযোগ্য। আইক্রিম কাপ বা সিরাপের বোতল অথবা খাবারের কন্টেনারে এই ধরনের চিহ্ন দেখা যায়।
৭. ত্রিকোণের মধ্যে ৬ অথবা ৭ সংখ্যা থাকলে— প্লাস্টিকের রেড কার্ড বলা হয় একে। এই ধরনের প্লাস্টিক মারাত্মক রকমের ক্ষতিকারক। কারণ এই ধরনের প্লাস্টিক তৈরি হয় পলিস্টিরিন এবং পলিকার্বনেট বিসপেনল-এ। এটা মানুষের মধ্যে হরমোন সমস্যা তৈরি করে। ক্রমাগত এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 6, 2019

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের উপর প্রজন্মের যা কিছু নির্ভর করে।

প্রজন্ম

জানেন কি স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি হয়? এবং ভিন্ন হলে কী হয়? জেনে নিন এখনই-

আমরা বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি, কিন্তু ভুলে যাই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপারটি, আসুন জেনে নেয়া যাক এই বিষয়ে জরুরী কিছু তথ্য-

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত রক্তের গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হল ABO system (A, B, AB & O), আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হল: A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB+ve, AB-ve O+ve, O-ve.

জেনে নেয়া যাক, যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেয়া হয় তাহলে কী হবে?

যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে এন্টিবডি তৈরি হবে যার ফলে যদি কখনো রোগী আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারণে অনেক সমস্যা হবে। যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

স্বামী-স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ কী রকম হওয়া দরকার?

স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর ব্লাডগ্রুপ ও নেগেটিভ হতে হবে।

যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে?

রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সেক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus(ভ্রুণ) তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেদ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে।

মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরি করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয় তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরি হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন fetus এর শরীরে Rh antibody ঢুকবে তখন fetal এর RBC এর সঙ্গে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

যে ভুলগুলো আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে!


আমাদের রূপচর্চা আর দৈনন্দিন অনেক কাজেই সামান্য ভুলের কারণে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। একটু সাবধান হলেই এসব সমস্যা দূর করা যায়। চলুন একটু জেনে নিই, যেসব ছোট ছোট ভুলের কারণে ক্ষতিগুলো হয়ে থাকে—

১. মেকাপের যেসব ভুলে অসুস্থ হচ্ছেন আপনি-

আইলাইনার চোখের ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করা:
অনেকেই চোখ সুন্দর করে আইলাইনার দিয়ে এঁকে থাকেন। এবং বেশীর ভাগ সময়েই কাজল বা লাইনার চোখের ওয়াটার লাইনে ব্যবহার করেন। এতে লাইনারে ব্যবহৃত কেমিক্যাল চোখের সংস্পর্শে চলে আসে তা তাৎক্ষণিকভাবে শুধুমাত্র চোখ জ্বালাপোড়া করলেও নিয়মিত ব্যবহারে চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চোখে ফলস আইল্যাশ ব্যবহার:
চোখের পাতা বড় দেখানোর জন্য চোখে আইল্যাশ ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এই ফলস আইল্যাশ লাগানো হয় গ্লু দিয়ে যা চোখের জন্য এবং ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। গ্লুতে থাকা ফরমালডিহাইড চোখের সংস্পর্শে এলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং সাবধান।

নোংরা মেকাপ ব্রাশ ব্যবহার:
সপ্তাহে অন্তত ১ দিন মেকাপ ব্রাশগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়া উচিত যা অনেকেই করেন না।আর একারণেই নোংরা মেকাপ ব্রাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বকের ইনফেকশন, ব্রণের উপদ্রব হওয়ার মূল কারণ নোংরা মেকাপ ব্রাশ ব্যবহার করা।

মেয়াদ উত্তীর্ণের পরও মেকাপ ব্যবহার:
নারীরা একবার মেকাপের জিনিসপত্র কিনলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ব্যবহারই করতে থাকেন।অনেক কম নারীই রয়েছেন যারা এক্সপায়ার ডেটের খবর রাখেন। কিন্তু এই কাজটিও বেশ ক্ষতিকর। মেয়াদ শেষ হওয়া মেকাপ ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ত্বকের নানা সমস্যা এমনকি ত্বকের ক্যান্সারের জন্যও দায়ী মেয়াদউত্তীর্ণ মেকাপ ব্যবহার।

ঘন ঘন নেইলপলিশ ব্যবহার:
সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার করলে নখ পাতলা হয়ে যায়। আর নখের উজ্জ্বলতা কমে যায়। তাই নেইলপলিশ কম ব্যবহার করা উচিত।

২. দৈনিক রূপচর্চায় যে সব ভুলে অসুস্থ হতে পারেন-

মুখ ধোয়ার জন্য কেউই হাত পরিষ্কার করে নেন না। অনেকেই ভাবেন মুখ ধোয়ার সাথে হাতও পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু আপনার হাতে যে জীবাণু রয়েছে তা প্রথমেই ত্বকে চলে যায় এবং সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আগে হাত ধুয়ে নিন।

অনেকেই শুকনো ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক ধুয়ে থাকেন এতে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। প্রথমে ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ত্বকে ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
অনেক সময় নানা ফেসমাস্ক বা উপটান ব্যবহারের পর তা ঠাণ্ডা বা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া থাকে। তখন আমরা সঠিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে অনেক বড় ভুল করে থাকি। খুব ঠাণ্ডা বা বেশ গরম পানি দিয়ে ত্বক ধোয়া উচিত নয়।

স্ক্রাবিং ত্বকের জন্য অনেক বেশি জরুরি। এতে করে ত্বকের মরা চামড়া দূর হয় এবং গভীরে জমে থাকা ময়লা দূর হয়। অনেকে বেশি সময় ধরে ত্বক স্ক্রাব করেন যা অনেক ক্ষতিকর। স্ক্রাবার দিয়ে মুখের ত্বক ১/২ মিনিটের বেশি স্ক্রাব করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ এর বেশি সময় ধরে স্ক্রাব করলে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয়।

যেকোনো একটি তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা মোটেও ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। মুখ মোছার তোয়ালে অবশ্যই আলাদা করে রাখবেন। তা না হলে ত্বকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।
ত্বক কখনোই তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে ঘষে মুছবেন না। এতে ত্বকের টিস্যুর মারাত্মক ক্ষতি হয়। তোয়ালে বা কাপড় চেপে ধরে শুধুমাত্র ত্বক থেকে পানি শুষে নিন।

৩. দৈনন্দিন যেসব ভুল কাজে আপনি অসুস্থ হতে পারেন-

সটান হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা:
অনেকেই দাঁড়ানোর সময় হাঁটু একেবারে সোজা করে দাঁড়ান। কিন্তু এই কাজের কারণে অতিরিক্ত চাপ পড়ছে আপনার হাঁটুর জয়েন্টে, যার কারণে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যেতে পারে আপনার হাঁটুর জয়েন্ট। তাই দাঁড়ানোর সময় হাঁটু সামান্য বাঁকা করে দাঁড়ান, সব সময় সোজা হয়ে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।

পেটের উপর চাপ দিয়ে উপুড় হয়ে ঘুমানো:
অনেকেই চিৎ হয়ে বা কাত হয়ে ঘুমান না। আরমের জন্য উপুড় হয়ে পেটে ভর দিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন। কিন্তু জেনে রাখুন এতে আপনার পরিপাকতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও যখন আপনি উপুড় হয়ে ঘুমান তখন মাথা কাত করে রাখতে হয় যার কারণে আপনার মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ছে এবং ক্ষতি হচ্ছে সেখানেই। সুতরাং এই ব্যাপারে সর্তক হোন।

সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোনো:
অনেকেই সারাক্ষণ চুইংগাম চিবোতে থাকেন। সারাক্ষণ না হলেও দীর্ঘসময় এই কাজটি করার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এই কাজটির কারণে ক্ষতি হচ্ছে আপনার চোয়ালের মাংসপেশি। সুতরাং অভ্যাসটি ত্যাগ করুন।

টাইট জামা-কাপড় পরা:
অনেকে বেশি টাইট করে জামা কাপড় পরেন। নিজেকে একটু স্লিম দেখাবার জন্য অনেক টাইট করে জামা কাপড় বা বেল্ট পড়েন। কিন্তু অনেকটা সময় ধরে টাইট করে জামাকাপড় পড়ার কারণে আপনার শরীরের পেশীগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যার কারণে শরীর ব্যথা হতে পারে, পেটে চাপ পড়লে খাবার সঠিকভাবে হজম হতে পারে না এবং অ্যাসিডিটির সৃষ্টি করে।

একটানা বসে থাকা:
কাজ করার জন্য অনেকেই একটানা বসে থাকেন যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি নানা শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী। প্রতি ৪৫ মিনিট পরপর উঠে হেঁটে আসা উচিত।

লিখেছেন- সোহানা মোরশেদ
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 5, 2019

বর্তমান সময়ের জন্য কিছু অতিপ্রয়োজনীয় পরামর্শ, জানুন ও মেনে চলুন→


১. আপনি যখন মোবাইলে কোনো নাম্বারে ডায়াল করেন তখন কানেকশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত মোবাইল তার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে, এসময় মোবাইল থেকে সর্বোচ্চ রেডিয়েশন হয় যা মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। তাই এই রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে এসময় মোবাইল কানের কাছে না ধরে দূরে ধরুন।

২. মোবাইলের চার্জের বাতি যখন শেষ দাগে তখন কোনো কল ধরবেন না কারন এই সময় রেডিয়েশন অন্যান্য সময়ের চেয়ে ১০০০ গুন বেশি থাকে। তাই পুনরায় চার্জ দিয়ে ফোন করুন।

৩. টি.ভি দেখার সময় বাতি বন্ধ করবেন না। বাতি বন্ধ থাকলে টি.ভি হতে নিক্ষিপ্ত ইলেকট্রন সোজা-সুজি চোখে আঘাত করে যা চোখের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

৪. প্লাস্টিকের পাত্রে গরম খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।

৫. ঠান্ডা পানি দিয়ে ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।

এই ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন। নিজে সুস্থ থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 4, 2019

খাবার স্যালাইন খাওয়াতে সতর্ক হোন, জেনে নিন সঠিক নিয়ম!


কৌতূহল নিয়ে দেখছি কি করে-
প্রচণ্ড গরম পরেছে, পাশের সারির সিটে বসেছিল দুইজন ছেলে, দুজনই ছাত্র;
হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল, একটু ঝাঁকি দিল, এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল, সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই।
জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?
- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না, তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভাল।

এরকম ভুল প্রায় লোকই করে, সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো, কি আর হবে? কিন্তু এটা যে কত মারাত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না!

বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপদজনক!
কয়েক মাস আগের কথা, ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
একটু সন্দেহ হল, জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাওয়াইছেন বাবুকে?
- কেন? স্যালাইন।
- বানাইছেন কিভাবে?
- হাফ গ্লাসের মত পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলছি।
- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?
- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?
তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক! কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।

মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমত খাবেন। এটি ওষুধ- বমি, পাতলা পায়খানা বা গরমের ফলে প্রচন্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।
এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলতে হবে, ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে। আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যালাইন দ্রবন প্রস্তুত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।
এর কম পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিডনির ক্ষতি করবে। বেশি পানিতে বানালে লবনের ঘনত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।
একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।
কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না, কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না। এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন।
একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি রোগ কিংবা হার্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।

আর হ্যাঁ, বাজারে "টেস্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না। এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোন অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
লেখা: তারাকী হাসান।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সাম্প্রতিক হুমকি ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবা!


সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা; কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই মারা যাচ্ছেন আক্রান্ত মানুষটি। এ ঘটনা কেন ঘটছে—তার কোনো ধারণাই নেই কারও। এভাবেই গত ছয় মাসে ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবার শিকার হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

অ্যামিবা একটি এককোষী মুক্তজীবী প্রাণী। অতি ক্ষুদ্র এককোষী প্রাণীটি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানে ‘মগজখাদক’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়ে গেছে।
‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’ নামের এ অ্যামিবা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। পানির মাধ্যমে নাক দিয়ে এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে যায় এবং স্নায়ু ধ্বংস করে ফেলে। নদী, পুকুর, হ্রদ ও ঝরনার পানি যেখানে উষ্ণ, সেখানে এ ধরনের অ্যামিবা বাস করে। এ ছাড়া শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন মাটি ও সুইমিংপুলেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মেলে।

করাচিতে ১০ জন এ ধরনের অ্যামিবার শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মুসা খান। 
এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়লে মারাত্মক কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ থাকে হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর ও পেটব্যথা।

এ প্রসঙ্গে মুসা খান বলেন, পাকিস্তানের অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 
বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে মুসা খান বলেন, পানি যেন মানুষের নাকের বেশি গভীরে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দূষিত পানিতে সাঁতার কাটা বা গোসল করার সময় এ ধরনের অ্যামিবা মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশে যেন এ রোগটির পাদুর্ভাব দেখা না যায় এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকুন৷ এমন লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ অার খেয়াল রাখুন দুষিত পানি যেন নাকের ভিতর উপরের দিকে উঠতে না পারে৷
জনসচেতনতায় শেয়ার করুন৷
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, February 3, 2019

স্বামী-স্ত্রীর মারাত্মক এসব ভুলের কারণে সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে!

প্রজন্ম

যে সকল অবস্থায় দম্পতি যৌন মিলন করলে তা থেকে উৎপন্ন সন্তান প্রতিবন্ধী হতে পারে এবং সেইসঙ্গে নিজেরও যেসব ক্ষতি হবে-

(১) রোগী ব্যক্তি মিলন করলে তার রোগ আরো বেড়ে যেতে পারে এবং শরীরের ক্ষতি হবে।
(২) শরীরে জ্বর ও বেশি গরমে মিলন করলে পাগল হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
(৩) স্ত্রীর ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে মিলন করলে স্বামী-স্ত্রী দুই জনেরই রোগ হতে পারে।
(৪) ভরা পেটে মিলন করলে কঠিন রোগ হতে পারে।
(৫) অন্ধকার ঘরে ক্ষুদ্র বা নোংড়া জায়গায় মিলন করলে চিরতরে স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
(৬) ভীষণ ক্ষুধার সময় মিলন করলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যায়।
(৭) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মিলন করলে মানসিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না!


লাল টুকটুকে রং, রসালো মিষ্টি স্বাদ। এমন লোভনীয় লিচুই যে প্রাণঘাতী হতে পারে, তা কখনও ভেবেছিলেন কি?

মৌসুমি ফল লিচু সুস্বাদু আর বেশ মুখরোচকও। কিন্তু এই লিচুই হতে পারে মৃত্যুর কারণ। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, সকালে খালি পেটে লিচু খাওয়া যাবে না। খেলে বিপদ হতে পারে। এমনকি শিশুদের বেলায় এতে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। লিচু খেতে হবে ভরা পেটে এবং পাকা লিচু। সম্প্রতি ভারতের একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়, লিচুতে আছে 'মিথাইলিন সাইকোপ্রোপাইল গ্লাইসিন এমসিপিজি' নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি শরীরে ঢুকলে দেহে শর্করা উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যায়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। একপর্যায়ে বিশেষ করে শিশুদের বেলায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

খালি পেটে লিচু খেলে 'চমকি কি বিমারি' নামক একটি রোগ হয়। এই রোগে গত দু’বছরে বিহারের মুজফফরপুর এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

এমনটাই ঘটেছে ভারতে। এক, দু’জন নয়, লিচু খেয়ে প্রাণ হারিয়েছে কয়েকশো শিশু। লিচুর জন্য বিখ্যাত বিহারের মুজফফরপুরেই এমন কাণ্ড ঘটেছে।

১৯৯৫ সালে প্রথমবার এই রোগের কথা জানা যায়। তারপর থেকে প্রতি বছরই লিচু খেয়ে বিহারে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

২০১৪ সালে মুজফফরপুরের মেডিক্যাল কলেজে ‘চমকি কি বিমারি’-তে আক্রান্ত হয়ে ৩৫০টি শিশু ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১২২টি শিশুর মৃত্যু হয়।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শিশুদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে রাষ্ট্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যৌথ তদন্ত শুরু করে।

সেই তদন্ত রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালি পেটে লিচু খাওয়ার পরে শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটার কারণেই শিশুগুলির মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মৃত শিশুরা প্রত্যেকেই সকালবেলা খালিপেটে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেয়েছিল। পেট ভার হয়ে থাকায় তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত আর কিছু খায়নি।

যার ফলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা শর্করার পরিমাণ কমে যায়। বিশেষত যে শিশুদের লিভার এবং মাংসপেশিতে গ্লাইকোজেন গ্লুকোজ ধরে রাখার ক্ষমতা কম, তারাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় শরীরে এনার্জি উৎপাদনকারী ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লুকোজের অক্সিডেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে।

তবে গবেষকেরা বলেন, এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ ভরা পেটে লিচু খেলে এমনটি হয় না। এ ছাড়া পাকা লিচু খেলেও তেমন কোনো ভয়ের কারণ নেই। পাকা লিচুতে উল্লেখিত রাসায়নিক উপাদান সহনীয় মাত্রায় থাকে। ভয় শুধু কাঁচা লিচু খাওয়ার বেলায় এবং সেটা খালি পেটে খেলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সুস্থ সন্তান, সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখতে চাইলে এসব জেনে নিন এখনই!

প্রজন্ম

বিয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুধু নিরাপদ যৌন জীবন না, পরবর্তি প্রজন্মের সুস্থতার জন্যও প্রয়োজন। সবচে বড় কথা কয়েকটি স্বল্প খরচের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি অনেকগুলো জটিল রোগ নির্ণয় করতে পারবেন, পরবর্তি জটিলতা থেকে নিজে এবং নিজের স্ত্রী/ স্বামী, সন্তানকে মুক্ত রাখতে পারবেন। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিয়ের আগে যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করা বেশি জরুরি সেগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেয়া হল। লম্বা তালিকা দেখে আৎকে ওঠার কিছু নাই। সব সময়ই তো বেশি বেশি টেস্ট দেয়ার জন্য ডাক্তারকে গালমন্দ করেন। এবার নিজে থেকে, পরিবারের ভালোর জন্য কয়েকটা টেস্ট করান।

ইনফার্টিলিটি টেস্ট (Infertility Test):
বিয়ের পর আপনি সন্তান নিতে চান বা না চান, কিন্তু জেনে রাখতে হবে, আপনারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই শারীরিকভাবে সন্তান জন্মদানে সক্ষম কিনা। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। পুরুষদের জন্য সিমেন এনালাইসিস, মহিলাদের জন্য পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম, বিভিন্ন হরমোন লেভেল কাউন্ট, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট ইত্যাদি।

ব্লাড ডিজঅর্ডার টেস্ট (Blood-disorder Test):
থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়াসহ কয়েকটি রক্তের রোগ নির্নয়ের জন্য এটি খুবই জরুরি। যেমন হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রো ফোরেসিস টেস্ট। চাচাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে হলে কোন অবস্থাতেই হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রো ফোরেসিস পরীক্ষার রিপোর্ট না দেখে সন্তান নেয়া উচিত না। জেনেশুনে একটি অসুস্থ বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার অধিকার আপনার নেই।

এসটিডি টেস্ট (STD Test):
সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি যৌনবাহিত রোগ নির্নয়ের জন্য এসব পরীক্ষা করা হয়। এন্টিবায়োটিক খেয়ে আগে জীবাণুমুক্ত হন, তারপর বিয়ের তারিখ ঠিক করেন।

এইচ আইভি(HIV), হেপাটাইটিস বি(HBV) এবং হেপাটাইটিস সি(HCV) ভাইরাসের এন্টিবডি টেস্ট:
আমরা টের না পেলেও নিরব ঘাতকের মত ছড়িয়ে পড়ছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসগুলো। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মহিলা এইডস রুগি এইচআইভি ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে তাদের বিদেশ ফেরত স্বামীর মাধ্যমে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের সন্তানও এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মায়ের কাছ থেকে।

টর্চ স্ক্রিনিং (TORCH Screening):
টক্সোপ্লাজমা, রুবেলা, সিএমভি, হারপেস ভাইরাস এন্টিবডি টেস্টের মাধ্যমে গর্ভধারনের আগেই বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি আছে নাকি জেনে নেয়া যায়। এরকম জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্ম নেয়ার পর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে, তাই এই স্ক্রিনিংয়ের গুরুত্বও বেশি। সরকার অবশ্য এর মধ্যেই বিনামুল্যে ৯-১৪ বছরের বাচ্চাদের বিনামুল্যে রুবেলা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে।

জেনেটিক টেস্ট (Genetic Test):
ব্রেস্ট, কোলন বা ফুসফুস ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি বংশগত রোগ এই ধরনের টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।

মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা( Mental Health Assessment):
আমরা মানসিক রোগগুলো নিয়ে বরাবরই উদাসিন। অথচ বিয়ের পর কেবলমাত্র মানসিক রোগের কারনেই অনেকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

বয়স ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় (Age determination and blood grouping & Rh typing):
কম বয়সে (১৮ বছর) বিয়ে হলে যেমন সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার, রক্তস্বল্পতা ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তেমনি বেশি বয়সে (৩৫ বছর) বিয়ে হলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৫ বছরের বেশি না হওয়াই ভাল। এতে শারীরিক এবং মানসিক, দুই ধরনের স্বাস্থ্যই ভাল থাকে।অন্যদিকে পজিটিভ ব্লাড গ্রুপের মায়ের গর্ভে নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের বাচ্চা বেড়ে উঠলে, জন্মের কিছুক্ষনের মধ্যেই বাচ্চা প্রাণঘাতী সমস্যায় পরতে পারে। একটির বেশি বাচ্চা নিলে এ রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়াও বিয়ের আগে রুটিন রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা, বুকের এক্সরে, ইসিজি, সিরাম ক্রিয়েটিনিন করে নেয়া উচিত।
এক সময় ভ্যাক্সিন ছিল না, এখন অনেকগুলো ভ্যাক্সিন সরকারিভাবেই দেয়া হয়। এক সময় রক্ত নেয়ার আগে স্ক্রিনিং টেস্ট ছিল না, এখন স্ক্রিনিং ক্রস ম্যাচিং ছাড়া রক্ত দেয়ার কথা চিন্তাও করা যায় না।

আজকে আমাদের উপরের কথাগুলো হাস্যকর, বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। এক সময় দেখা যাবে ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ "কবুল" বলছে না।

অপেক্ষায় থাকলাম।
© জাহিদুর রহমান।

ভালো থাকুন | School of Awareness

স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু ভুল ধারণা ও সঠিক উত্তর!


১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা! 
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা। 
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।

এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
সৌজন্যেঃ ডা. রিফফাত করিম।
সুত্র: "স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা" ফেসবুক পেজ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, February 2, 2019

মশার কয়েলের ব্যবহার কমান!


মশার কয়েলের ব্যবহারে সতর্ক হোন!
মশার কয়েলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় আবিষ্কৃত হয় যে, একটি শক্তিশালী মশার কয়েলে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে তা ১০০টি উচ্চ মাত্রার নিকোটিনের সিগারেটের সমান; এবং সম্প্রতি বাংলাদেশেই শক্তিশালী মশার কয়েল ব্যবহারের ফলে একটি বংশানুগতিক শ্বাসকষ্ট সমস্যায় আক্রান্ত পরিবারে মশার কয়েলের ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ হয়ে পিতা ও শিশুপুত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তবে, এই লেখার উদ্দেশ্য এই পরামর্শ দেওয়া নয় যে মশার কয়েল ব্যবহার করা ছেড়ে দিন। এর অর্থ হলো মশার কয়েলের ব্যবহার কমান। একান্ত ব্যবহার না করলেই নয় সেসব ক্ষেত্রে মশার কয়েল ব্যবহার করুন। মশা প্রতিরোধের বিকল্প পথ খুঁজুন/ বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করুন। মশারী ব্যবহার করুন। যেখানে মশারী বা অন্যান্য পদ্ধতি একেবারেই সম্ভব নয় শুধু সেখানেই মশার কয়েল ব্যবহার করুন।

কিছু বিকল্প পদ্ধতি এরূপ হতে পারে-
১. দিনের যে সময়টাতে রুমে মশা কম থাকে সেই সময়ে মশা তাড়িয়ে দিয়ে রুম মশামুক্ত করুন এবং মশা ঢোকার পথ রুদ্ধ করে দিন। শীতকালে এ কাজটা বেশ সহজ। গরমকালে দরজা ও জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট ব্যাবহার করতে পারেন; সুবিধার জন্য নেট ফ্রেমে বসাতে পারেন তাহলে ঘরের মাঝে সুন্দরভাবে পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজ করতে পারবেন আর ঘুমানোর সময় তো মশারি থাকছেই।
২. রুমকে মশামুক্ত করার জন্য কাজ করার পরও যদি দু একটা মশা থেকে যায় সেগুলোকে শায়েস্তা করতে মশা মারার ব্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৩. মশা তাড়ানোর তরঙ্গ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
৪. এর আগে আমাদের "টুকিটাকি" বিভাগে সুলভে মশা প্রতিরোধের একটি পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে, সেটা প্রয়োগ করতে পারেন। কমেন্টে সেই লেখার লিংক দেওয়া আছে।
আরো কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি বাজারে পেলে তাও প্রয়োগ করুন। তবে, এ্যারোসল ব্যবহার করবেন না; অন্য কোনো সময়ে এ্যারোসল এর ক্ষতিকর দিক ও তার বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
(সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness