Monday, February 4, 2019

সাম্প্রতিক হুমকি ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবা!


সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা; কিন্তু সপ্তাহ না পেরোতেই মারা যাচ্ছেন আক্রান্ত মানুষটি। এ ঘটনা কেন ঘটছে—তার কোনো ধারণাই নেই কারও। এভাবেই গত ছয় মাসে ‘মগজ-খেকো’ অ্যামিবার শিকার হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

অ্যামিবা একটি এককোষী মুক্তজীবী প্রাণী। অতি ক্ষুদ্র এককোষী প্রাণীটি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানে ‘মগজখাদক’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়ে গেছে।
‘নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি’ নামের এ অ্যামিবা দূষিত পানির মাধ্যমে ছড়ায়। পানির মাধ্যমে নাক দিয়ে এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে যায় এবং স্নায়ু ধ্বংস করে ফেলে। নদী, পুকুর, হ্রদ ও ঝরনার পানি যেখানে উষ্ণ, সেখানে এ ধরনের অ্যামিবা বাস করে। এ ছাড়া শিল্পকারখানার উষ্ণ পানি পড়ে এমন মাটি ও সুইমিংপুলেও এ ধরনের অ্যামিবার দেখা মেলে।

করাচিতে ১০ জন এ ধরনের অ্যামিবার শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা মুসা খান। 
এ অ্যামিবা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়লে মারাত্মক কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণ থাকে হালকা মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা, জ্বর ও পেটব্যথা।

এ প্রসঙ্গে মুসা খান বলেন, পাকিস্তানের অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোরও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 
বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে মুসা খান বলেন, পানি যেন মানুষের নাকের বেশি গভীরে প্রবেশ করতে না পারে, এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দূষিত পানিতে সাঁতার কাটা বা গোসল করার সময় এ ধরনের অ্যামিবা মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশে যেন এ রোগটির পাদুর্ভাব দেখা না যায় এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকুন৷ এমন লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ অার খেয়াল রাখুন দুষিত পানি যেন নাকের ভিতর উপরের দিকে উঠতে না পারে৷
জনসচেতনতায় শেয়ার করুন৷
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment