Sunday, December 8, 2019

সেলুনে ঘাড়-পিঠ মালিশ করানো হতে বিরত থাকুন


বাজে একটা অভিজ্ঞতা হয় অনেকের!
চুল কাটার পর একটু ঘাড়-পিঠ মালিশ করে নেয় ৫-১০ মিনিট। বিনিময়ে তাকে কিছু বকশিশ দেয়। একদিন ঘাড় মালিশ করার সময় কট করে একটা আওয়াজ হয়, একটু সামান্য ব্যথাও করে উঠেছিল। কিন্তু ছেলেটি অতটা গ্রাহ্য করেনি। দু-একদিন পর সে ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে লাগল। ক্রমে ব্যথা বাড়ছে। মা ভাবলেন, হয়তো উল্টাপাল্টাভাবে শোয়ার জন্য ঘাড়ে ব্যথা হয়েছে। মা প্রতিদিন ঘাড়ে গরম সেঁক দিতে শুরু করলেন। কিন্তু কিছুতেই ব্যথা কমছে না; বরং দিনদিন বাড়ছেই। একপর্যায়ে ব্যথা হাতের মধ্যে আঙ্গুল পর্যন্ত আসতে শুরু করল। ব্যথার জন্য ঘাড় নাড়ানোও তার জন্য কষ্টকর হয়ে উঠল। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বললেন, সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস হয়েছে ।
ঘাড়ের এম আর আই (MRI) ও নার্ভ কনডাকশন স্টাডি পরীক্ষা করে সেটি প্রমাণিত হলো। মেরুদণ্ডের দুটি হাড়ের মাঝে এক ধরনের ডিস্ক থাকে সেখান থেকে স্মায়ুগুলো বের হয়ে এসে আমাদের হাতে ছড়িয়ে পড়ে। যখন কোন কারণে ওই ডিস্ক সরে গিয়ে স্মায়ুর উপর চাপ দেয় তখন ব্যথা ঘাড় থেকে হাতের দিকে আসে এটাকে সারভাইক্যাল ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রলেপস বলে ।
এক্ষেত্রে চিকিৎসা হল ঔষধের পাশাপাশি সম্পূর্ণ বিশ্রাম অর্থাৎ হাটাচলা বা মুভমেন্ট করা যাবে না। এক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ২-৪ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। এটাতে অবস্থার উন্নতি না হলে অপারেশনও লাগতে পারে।
উক্ত বালকটির এই সমস্যাটি কেনো হলো? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, নরসুন্দর ঘাড়-পিঠ মালিশ করে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কোন কোন সময় মাথার ওপর চাপ দেয়, কখনো ঘাড় বাঁ দিকে ও ডান দিকে কাত করে। এসব মালিশ ঘাড়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে ঘাড়ের স্মায়ুতে চাপ পড়ার আশঙ্কা থাকে।

♦এখন পরামর্শ হলোঃ
• সেলুনে গিয়ে কখনো ঘাড় বা মাথা মালিশ করাবেন না।
• ঘাড় কখনো খুব বেশি পেছনে বা পাশে কাত করতে দেবেন না। এতে হঠাৎ করে সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস হয়ে যেতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, November 16, 2019

ওষুধের (ট্যাবলেট) মেয়াদ আছে কিনা তা দেখে নিন!


কীভাবে বুঝবেন যে ঔষধ খাচ্ছেন সেটার মেয়াদ আছে কি নেই? যারা জানেন না এখনই জেনে নিন।
দোকান থেকে ঔষধ কেনার সময় হয় সম্পূর্ণ স্ট্রিপ বা ঔষধের পাতা কিনছেন বা দোকানদার পূর্ণ স্ট্রিপ থেকে কেটে কয়েকটি দিচ্ছেন, পূর্ণ স্ট্রিপ কিনলে কেনার আগে কিছু জিনিস খেয়াল করুন বা যে স্ট্রিপ থেকে কেটে দিচ্ছে, কাটার আগে দোকানদারের হাত থেকে নিয়ে চেক করুন, ঔষধের স্ট্রিপ এর গায়ে উপরে বা নিচের অংশে স্পষ্ট কিছু ইংরেজি সংখ্যা এবং অক্ষরে ওই ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়কাল লেখা আছে। লাল তীর চিহ্ন দিয়ে ইংরেজি "E" অক্ষরের পাশে মেয়াদ উত্তীর্ণের মাস এবং বছর দেয়া থাকে, এখানে "E" তে Expire বুঝানো হয়েছে, প্রথম দুটো সংখ্যা মাস কে বুঝায়, পরের দুটো সংখ্যা বছর বুঝায়, যেমন : E0322, মানে হলো এই ঔষধের মেয়াদ ২০২২ এর মার্চ মাস পর্যন্ত। এইভাবে সব ঔষধের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকনির্দেশনা পাবেন, কেনার আগে দেখে কিনবেন। সহজে বোঝার জন্য উক্ত ঔষধের স্ট্রিপের ছবিটিতে তা চিহ্নিত করে দেখানো হয়েছে।
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)

ভালো থাকুন |  School of Awareness

Saturday, April 20, 2019

ভয়ংকর শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে মানববিধ্বংসী দৈত্য 'এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট' ব্যাকটেরিয়া!


আজ আপনাদের একটা ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই ভাবতে পারি না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।
স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (পিজি হাসপাতাল)। ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।
ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়-ব্লাড কালচার। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াযুক্ত রক্তকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই রক্তকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।
এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।
উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়ে চেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পূর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিঃশ্বাস-হাঁচি-স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কিনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, যে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।
শুধু জি-ম্যাক্স কেন?

আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেই যাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন।
ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, যে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!
ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।
আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?
যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?
আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইল ফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?
আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয় ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।
অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কি আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।
প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে যাবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডলফিন, কখনো হাতি ঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের পরে বুদ্ধিমান প্রাণী। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?

বাঁচার উপায়?
শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহূর্তে এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিসেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।
খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড... ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে। এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি বুকে হাত বাদ দিয়ে নিজের ধর্মগ্রন্থের উপর হাত রেখে প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।
Do you believe my Status?
Who cares?
Fight or Die.
Choice is yours!
• আমি অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক খাই না।
• খেলেও ডাক্তারের কথা বিশ্বাস করে ফুলডোজ খাই।
• ফার্মেসীর কথা শুনে এন্টিবায়টিক বদলাই না, ডোজ কমাই না।
লেখাঃ ডা. রাজীব হোসাইন সরকার।

('সাদা এপ্রোন' ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহীত; মূল লেখাটি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন)।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 13, 2019

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ!


জেনে নিন, মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাসসমূহ সম্পর্কে এবং এসব অভ্যাস ত্যাগ করুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত শব্দগুলোর অর্থ→

(সংগৃহীত)

জেনে নিন প্রেসক্রিপশন সম্পর্কিত টার্মগুলোর অর্থ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নারীরা যেসব কাজ করবেন না!


প্রতিটি নারীর জন্য পিরিয়ড বা মাসিক খুবই সাধারণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে সঠিক সময়ে মাসিক শুরু হওয়ার মাধ্যমে নারীর শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত হয়। এই মাসিকের সময় নারীদের কিছু কাজ করা থেকে, কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ নিজেদের সুস্বাস্থ্যের জন্যে।

পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে নিম্নের চারটি কাজ অবশ্যই বর্জন করুন:

১. পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি, কোমল পানীয় এবং নারিকেল খাবেন না।
২. এসময় মাথায় শ্যাম্পু ব্যাবহার করবেন না। কারণ পিরিয়ডের সময় চুলের গোড়া
আলগা হয় ফলে লোমকূপ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। শ্যাম্পু ব্যবহার এসময় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
৩. এসময় শশা খাবেন না। কারণ শশার মধ্যে থাকা রস পিরিয়ডের রক্তকে জরায়ু
প্রাচীরে আটকে দিতে পারে। যার ফলে আপনার বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. এছাড়াও লক্ষ্য রাখবেন, পিরিয়ডের সময় যেন শরীরে শক্ত কিছুর আঘাত না লাগে বিশেষত পেটে। পিরিয়ডের সময়টায় জরায়ু খুব নাজুক থাকে ফলে অল্প আঘাতেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। যার ফলে পরবর্তীতে জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ুতে ঘাঁ কিংবা বন্ধ্যাত্যের ঝুঁকি থাকে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঠাণ্ডা পানি পান করার ফলে পিরিয়ডের রক্ত বের না হয়ে জরায়ু প্রাচীরে জমাট বাঁধতে পারে যা পরবর্তী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে জরায়ু টিউমার বা ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে পারে। দয়া করে এই তথ্যটুকু আপনার স্ত্রী, মা, কন্যা সকলের কাছে পৌঁছে দিন।

আপনার শেয়ার করার মাধ্যমে যদি একজন নারীও উপকৃত হয় সেটাও পরম পাওয়া। জরায়ু ক্যান্সার ও বন্ধ্যান্ত মুক্ত হোক আমাদের মা বোনেরা।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

সন্তান নেওয়ার পূর্বে নিজেদের থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করে নিন।

প্রজন্ম

বিয়ে করেছেন মনের মানুষটিকেই। সুখের সংসার। সন্তান নেয়ার কথাও চিন্তা করছেন। কিন্তু হয়তো জানেনই না যে কেউ একজন কিংবা দুজনেই থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার কিনা।
আপনাদের অজ্ঞতার কারণেই আপনাদের অনাগত সন্তানের জীবন থ্যালাসেমিয়া নামক এক জীবনঘাতী রোগের কারণে হয়ে যেতে পারে অভিশপ্ত।
হ্যা আপনারাই এতে দায়ী। তাই আর দেরী না করে যারা বিয়ে করে সন্তান নেবার কথা ভাবছেন এমনকি অনেকে হয়তো প্রেগন্যান্ট অবস্থায় আছেন তারা নিজেদের সাথে সাথে আপনাদের অনাগত শিশুর থ্যালাসেমিয়া টেস্ট করিয়ে নিন।
আপনাদের আজকের সঠিক পদক্ষেপেই আগামী দিনে জন্ম নেবে এক সুস্থ শিশু আর আমরা পাবো একটি থ্যালাসেমিয়া মুক্ত বাংলাদেশ।
জেনে রাখুন যে, বাংলাদেশী জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৪.৮ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। বাংলাদেশে প্রায় ২লাখ শিশু থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হবে ৫০,০০০ প্রতি বছর।
একটু সচেতনতা আর একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ বাঁচাতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
তাই দেরি নয়। প্রতিরোধ এখনি!
থ্যালাসেমিয়ার টেস্ট সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য কল করুন:
DNA Solutions Ltd. ০১৯৭১৫৯৪২০৫ এই নাম্বারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness